বাগেরহাট: বাগেরহাটে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে জলাবদ্ধতা থাকায় মারা যাওয়ার চারদিন পরে উরফুল বেগম নামে এক নারীর মরদেহ দাফন করা হয়েছে।
এলাকাবাসীর সহযোগিতায় বুধবার (২৯ মে) সকালে স্বজনরা কাঠের বাক্সে করে পানির মধ্যেই তাকে দাফন করেন।
উরফুল বেগম মোরেলগঞ্জ উপজেলার বারুইখালী ইউনিয়নের পায়রাতলা গ্রামের হোসেন আলী হাওলাদারের স্ত্রী। তার সাত ছেলে ও তিন মেয়ে রয়েছে। দেলোয়ার হাওলাদার নামে এক ছেলে ছাড়া জীবিকার প্রয়োজনে সবাই বাড়ির বাইরে থাকেন।
ঝড়ের দিন রোববার (২৬ মে) রাতে ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু হয়। বাড়ির আশপাশে পানি থাকায় ওই নারীর মরদেহ দাফন নিয়ে শঙ্কায় পড়েন ছেলে দেলোয়ার হাওলাদার। পরে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ ইউনুস আলী হাওলাদারের সহায়তায় বিশেষ পদ্ধতিতে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখেন মরদেহ। ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের তীব্রতায় তিনদিনের মধ্যেও ওই নারীকে দাফন করা সম্ভব হয়নি।
ওই নারীর ছেলে দেলোয়ার হাওলাদার বলেন, মা মারা গেলেও, পানিতে জলাবদ্ধতায় কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারি নাই। বাড়ি ঘর সব পানিতে ভরে গেছে, তিনদিন হয়ে গেছে মারে মাটি দিতে পারি নাই। একটু পানি কমছে তাই বড় কষ্টে মাকে মাটি দিয়েছি।
বারুইখালী ইউনিয়ন পরিষদ নারী ইউপি সদস্য হালিমা বেগম বলেন, ওই নারী মারা গেছে ঘূর্ণিঝড়ের প্রথম দিনে। খবর পেয়ে গ্রাম পুলিশ ঘরের আড়ার সঙ্গে বিশেষ পদ্ধতিতে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখতে বলেন। ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে শরণখোলায় প্রচুর পানি ওঠে। আমাদের এখানে একটি সরকারি খাল আছে যা বেঁধে রাখার কারণে পানি কোথাও নামাতে পারে নাই। পানির জন্য তাকে দাফন দিতে পারে নাই গোসল করিয়ে বরফ দিয়ে রেখে দিয়েছিল। পানি একটু নামার পর বুধবার সকালে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৯ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২৪
আরএ