মৌলভীবাজার: মৃত্যুঝুঁকি জেনেও ঘরের ভেতরেই বসবাস করছে মানুষ! বিশালাকৃতির ভাঙা গাছটি যেকোনো সময় পড়তে পারে ঘরের ওপর। তাহলে এর মানে কী দাঁড়ালো? এর কয়েকটা মানে হতে পারে।
যেকোনো একটি কারণ হতে পারে। যদি দ্বিতীয় কারণটি ধরা হয় তবে তা চরম দুর্ভাগ্যজনক। কেননা, যেকোনো সময় বিশালাকৃতির একটি শিরিষ গাছ ঘরের ওপর পুরোপুরি ভেঙে পড়ে। সেখানে বসবাসরত প্রাণ কেড়ে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
শ্রীমঙ্গল রেলস্টেশন সূত্র জানায়, চলতি বছরের ২৮ এপ্রিল বিকেলের কালবৈশাখী ঝড়ে এই বিশালাকৃতির গাছটি রেলস্টেশনের একটি কোয়ার্টারের ওপর ভেঙে পড়ে। এখন সেখানে শ্রীমঙ্গল রেলস্টেশনের স্টাফ জামাল, রাফিক, সাইফুলসহ প্রায় চার পরিবারের লোকজন এখানে বসবাস করছেন। তারা তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বিশালাকৃতির একটি শিরিষ গাছ কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে ভেঙে পড়ে ঘরের ওপরে আটকে রয়েছে। যেকোনো সময় বিশেষ করে রাতের আঁধারে ভারী এ গাছটি দেবে গিয়ে ঘুমন্ত মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে। এক মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের নেই কোনো পদক্ষেপ।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টেশনমাস্টার সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ২৮ এপ্রিল প্রবল ঝড়ের এই গাছটি ভেঙে পড়ে। শুধু এটি নয় আমাদের রেলস্টেশনের আরও অনেক গাছ ভেঙে পড়ে। সেগুলো সরানো হয়েছে। তবে এই কোয়ার্টারটি কুলাউড়া আইডব্লিউর (প্রকৌশল বিভাগ) তত্ত্বাবধানে থাকায় আমরা গাছটি সরাতে পারছি না।
তিনি বলেন, আমি পরের দিন ২৯ এপ্রিলই এ গাছটি দ্রুত কাটার জন্য কুলাউড়া রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলীর কাছে মেসেজ দিই। এখন পর্যন্ত তিনি এখানে আসেননি এবং গাছটি কাটার ব্যাপারে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেননি।
কুলাউড়া রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. জাকিরের কাছে কয়েকবার মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনকল রিসিভ করেননি।
ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার-২ (পূর্বাঞ্চলীয় রেলপদ) মাহমুদুর রহমান বলেন, ঝড় বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে আমাদের রেলস্টেশনগুলোতে এভাবে গাছপালা ভেঙে পড়লে রেল যোগাযোগসহ সেখানে বসবাসরত মানুষের নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হয়।
বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ঢাকা এবং সিলেট) মোহাম্মদ সফিকুর রহমান জানান, আপনার এই বিষয়টি সত্যি জনগুরুত্বপূর্ণ। সমস্যা হচ্ছে, আমরা ইচ্ছা করলেই হুট করে গাছ কাটতে পারি না। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন, বন বিভাগ এবং পরিবেশবাদীদের অংশগ্রহণের প্রয়োজন পড়ে। আমি দ্রুত দেখছি, এ ব্যাপারে কি করা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০২৪
বিবিবি/এএটি