গাইবান্ধা: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ১০ শতাংশ জমির দাবিতে দিনভর মৃত স্বামীর মরদেহ দাফন আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রী মমতাজ বেগমের (৭০) বিরুদ্ধে। তাকে বঞ্চিত করে তৃতীয় স্ত্রীর নামে দুই বিঘা জমি লিখে দেওয়ার ক্ষোভে দাফনে বাধা দেন বলে দাবি মমতাজ বেগমের।
সোমবার (১০ জুন) রাতে গোবিন্দগঞ্জ থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোশারফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের সিংজানি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ওই গ্রামের আব্দুর রশিদের তিনজন স্ত্রী রয়েছেন। তার মধ্যে প্রথম স্ত্রী হেনা বেগমের এক ছেলে, দ্বিতীয় স্ত্রী মমতাজ বেগমের (৬৫) এক মেয়ে ও দুই ছেলে এবং তৃতীয় স্ত্রী রশিদা বেগমের (৪৫) মেয়ে রয়েছে দুইজন।
আব্দুর রশিদ প্রথম স্ত্রীর ছেলেকে এক লাখ টাকা, দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলেদ্বয়কে বাড়ির ভিটা ও তৃতীয় স্ত্রী ও তার মেয়েদের ৬৪ শতাংশ জমি লিখে দেন।
শনিবার (৮ জুন) মধ্যরাতে অসুস্থজনিত কারণে আব্দুর রশিদ মারা যান। এর পর মমতাজ বেগম ও তার মেয়ে ১০ শতক জমির দাবি করে মরদেহ দাফনে বাধা দেন। এ নিয়ে রোববার (৯ জুন) দিনভর কয়েক দফা দরবার করেও বিষয়টি অমীমাংসিত থেকে যায়। একপর্যায়ে বিষয়টি থানা পর্যন্ত গড়ায়।
গোবিন্দগঞ্জ থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোশারফ হোসেন জানান, সম্পদ নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত মরদেহ দাফনের কাজ বন্ধ ছিল। পরে থানা ও প্রশাসনের মধ্যস্থতায় মরদেহ দাফনের ব্যবস্থা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৩ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২৪
আরআইএস