ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সীমান্তে গুলি চালাতে পারে বিএসএফ: বিজিবির মাইকিং

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০০ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২৪
সীমান্তে গুলি চালাতে পারে বিএসএফ: বিজিবির মাইকিং

চুয়াডাঙ্গা: ‘ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সীমান্তে গুলি চালাতে পারে’ তাই সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশিদের না যেতে সতর্ক করে মাইকিং করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার ৫৮ বিজিবির অধীনস্থ উথলী বিশেষ ক্যাম্পের পক্ষ থেকে এ মাইকিং করা হয়।

মাইকিং করে বলা হয়, ‘বিএসএফ সদস্যরা সীমান্তের নিকটবর্তী বাংলাদেশি অসামরিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে পারে। বাংলাদেশি জনসাধারণকে সীমান্ত এলাকায় না যাওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে। অনুরোধক্রমে উথলী বিশেষ ক্যাম্প। ’

ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার রাতের যে কোনো সময় ভারত সীমান্তের মধ্যে বিএসএফের এক সদস্যকে কুপিয়ে জখম করেছে দুষ্কৃতকারীরা। তাদের দাবি, এরা বাংলাদেশি। এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ৫৮ বিজিবির অধিনায়ক উপস্থিত ছিলেন। এ ঘটনার পর থেকেই মাইকিং শুরু করে বিজিবি সদস্যরা।

সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইশাবুল ইসলাম মিল্টন বলেন ‘বিজিবির পক্ষ থেকে আমাকে জানানো হয়- গ্রাম পুলিশ, প্রতিটা ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে জানিয়ে দেন যেন সীমান্তবর্তী তারকাঁটার আশপাশে গরু-ছাগল কিংবা কৃষি কাজের জন্য কেউ না যান। এরপর বিষয়টি মাইকিং করে সর্বসাধারণকে জানানোর জন্য বলা হয়। ’

বিজিবি জানায়, সোমবার রাতে মহেশপুর সীমান্তের ভারতের অভ্যন্তরে বিএসএফ সদস্যকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। বিএসএফের দাবি, হামলাকারী দুষ্কৃতকারীরা বাংলাদেশি। তবে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশি নাগরিকদের সংশ্লিষ্টতার কোনো প্রমাণ আছে কি না বিজিবি জানতে চাইলে বিএসএফ তথ্য দিতে ব্যর্থ হয়। পতাকা বৈঠকে হামলার ঘটনায় ভারতীয় তিনজন নাগরিকের সরাসরি যুক্ত থাকা এবং বিএসএফ কর্তৃক একজন হামলাকারীকে আটকের পরিচয়সহ বিজিবির জোরালো দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিএসএফ সম্মত হয় যে, হামলার ঘটনায় ভারতীয়রাই জড়িত। এতে বাংলাদেশি কাউকে জড়িত পাওয়া যায়নি।

মহেশপুর ৫৮ বিজিবির পরিচালক এইচ এম সালাহউদ্দিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশি দুষ্কৃতকারীরা বিএসএফ সদস্যকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েছে বলে বিএসএফের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হয়। পরে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের অভিযোগের প্রমাণ আছে কি না জানতে চাইলে তারা তা জানাতে ব্যর্থ হয়। বাংলাদেশের পক্ষ হতে সম্ভাব্য আসামির পরিচয় উপস্থাপন করলে বিএসএফ তাকে ভারতীয় নাগরিক বলে মেনে নেয়।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশি নাগরিকের জড়িত থাকার উপযুক্ত প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে বিএসএফকে জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০০৫৮ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২৪
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।