চাঁদপুর: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন বলেছেন, দুদক প্রতিষ্ঠায় তফসিলে যে কথাগুলো রয়েছে, সেগুলো আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করছি। দুর্নীতির ব্যাখ্যায় কোন বিষয়গুলো আসছে।
বুধবার (১২ জুন) সকালে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত গণশুনানি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরাসরি অভিযোগ শুনানি হলে কিছু কিছু বিষয় তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান হবে, তাতে মানুষ উপকৃত হবেন। আবার কিছু অভিযোগ ও ক্ষোভ এখানে সমাধান করা সম্ভব হবে না। তবে আমরা এসব অভিযোগ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের মাধ্যমে সমাধান করার জন্য অনুরোধ জানাব। এরপরও কিছু অভিযোগ স্থানীয়ভাবে সমাধান হবে না, সেগুলো আমাদের প্রধান কার্যালয়ের কেন্দ্রীয় যাচাই বাছাই কমিটিতে পাঠানো হবে। সেখানে যাচাই বাছাই কমিটি বিষয়টি অনুসন্ধান করে সত্যতা নির্ধারণ করবে এবং সত্যতা পাওয়া গেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সত্যতা না মিললে সেখানেই অভিযোগের পরিসমাপ্তি হবে।
সচিব বলেন, আপনারা জানেন যে কোনো প্রচেষ্টা এককভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব না। এটি সফল করার জন্য আপনাদের সবার সার্বিক সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য। সেবা দাতা ও গ্রহীতা কেউ কিন্তু প্রতিপক্ষ নয়। আমরা সবাই একই সমাজের মানুষ। তাই সবার প্রচেষ্টায় উন্নতি করাই আমাদের কাম্য। আমার প্রত্যাশা থাকবে, যারা সরকারি-বেসরকারিভাবে বিভিন্ন সেবা কার্যক্রম চালাচ্ছেন, এ গণশুনানির মাধ্যমে তারা অবশ্যই সচেতন হয়ে যাবেন।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে দুর্নীতি দমন কমিশনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক এস এম এম আখতার হামিদ ভূঞা, দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতিরোধ বিভাগের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেনসহ অনেকে এসময় বক্তব্য দেন।
গণশুনানিতে চাঁদপুরের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২৪
এসআই