নীলফামারী: জেলায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ডাকাত দলের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছে থেকে ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো-গ ২৩-২৮২৫), দুইটি ছোরা, একটি লোহার হাতুড়ি, একটি লোহার রড, একটি টার্গেট লাইট, সাতটি মোবাইল ফোন ও দুই রিফ্লেটিং ভেস্ট উদ্ধার করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুন) রাত পৌনে তিনটায় রংপুর-ডালিয়া মহাসড়কের অভিযান চালিয়ে ডালিয়া পাউবো অফিসের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- বগুড়ার গাবতলী থানার মালিয়ার ডাঙ্গা এলাকার মো. লয়া প্রামানিকের ছেলে মো. আলমগীর হোসেন (৩০), বগুড়ার সোনাতলা এলাকার পশ্চিম পদ্মপাড়া এলাকার মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. সোনা মিয়া (৩০), নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বাঙ্গালীপুর নিজপাড়া এলাকার আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে আলী হাসান বাবু (৩১) ও একই উপজেলার পার্শ্ববর্তী ইসলামবাগ বড় মসজিদ এলাকার মৃত বেলাল হোসেনের ছেলে মো. সবুজ হোসেন (২৭)।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার শেষ রাতে রংপুর-ডালিয়া মহাসড়কের ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিসের সামনে একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মহাসড়কের দুইপাশ ঘেরাও করে একটি প্রাইভেটকার, ছোরা, লোহার হাতুড়ি, লোহার রড, টার্গেট লাইট, মোবাইল ফোন ও নিরাপত্তা বাহিনীর রিফ্লেটিং ভেস্টসহ চার ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের সহযোগী বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার ভেলুরপার এলাকার আজাদুল হকের ছেলে শান্ত ইসলামসহ (২৬) চার-পাঁচজন পালিয়ে যান।
গ্রেপ্তাররা পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান যে তারা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য।
ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ কুমার রায় জানান, ভ্রাম্যমাণ অবস্থায়, মাইক্রোবাস, জিপসহ বিভিন্ন যানবাহনে দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতি ও ছিনতাই করে আসছিল তারা। ডাকাতির প্রস্তুতিকালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পালাতকদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ওসি আরও জানান, গ্রেপ্তাররা বিভিন্ন থানার এজাহারভুক্ত আসামি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২৪
এফআর