ফরিদপুর: ফরিদপুরের সালথার গট্টি ইউনিয়নের মাদ্রাসা গট্টি থেকে রসুলপুর বাজারের নির্মাণাধীন কয়েক কিলোমিটার সড়কের কাজে নিম্নমানের ইট ও বালি ব্যবহারে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের (এলজিইডি) এই সড়কটির কাজ অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে তড়িঘড়ি করেই ঠিকাদার কাজ করছেন বলে দাবি এলাকাবাসীর।
জানা গেছে, উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের মাদরাসা গট্টি থেকে রসুলপুর পর্যন্ত সড়কের কাজ পায় গোপালগঞ্জ জেলার কামরুল অ্যান্ড ব্রাদার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। গোপালগঞ্জের ঠিকাদার হওয়ায় নিম্নমানের কাজ করলেও ভয়ে কেউ টু-শব্দ করতে পারছেন না।
তবে এ ব্যাপারে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ সড়কের নির্মাণ কাজে নিম্নমানের ইট-বালি ব্যবহারসহ খারাপ রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। রাস্তা নির্মাণে অনিয়মসহ নানা গরমিল ধরা পড়ে জনসাধারণের নজরে। রাস্তায় নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে। এত নিম্নমানের কাজ হওয়া সত্ত্বেও উপজেলা প্রকৌশল অফিস থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তাদের।
এ ব্যাপারে সালথা উপজেলা প্রকৌশলী আবু জাফর মিয়া সড়ক নির্মাণে কোনো অনিয়ম হচ্ছে না দাবি করে প্রতিবেদককে প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, ‘কীভাবে বুঝলেন ওই সড়কে নিম্নমানের ইট-বালি ব্যবহার হচ্ছে? ‘ইটের খোয়ার রং পোড়ামাটি রঙের, আর সেই ইট দিয়েই সড়কে কাজ করা হচ্ছে’ প্রতিবেদকের এমন উত্তরে তিনি বলেন, ওই নিম্নমানের ইট দিয়েই কাজ করার কথা! সড়ক নির্মাণের কাজ সব ঠিক আছে। কোনো জায়গায় কোনো অনিয়ম হচ্ছে না। ’
এদিকে এই উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে উপজেলাটির বিভিন্ন সময়ের কাজের শুরুতে অথবা শেষে ৫-৭ শতাংশ অর্থ সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ উঠলেও বিল আটকে যাওয়ার ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে, অভিযোগটি ভিত্তিহীন দাবি করেন ইঞ্জিনিয়ার আবু জাফর।
এ ব্যাপারে সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনিছুর রহমান বালী বাংলানিউজকে বলেন, সড়কে নিম্নমানের কাজ হচ্ছে কিনা সেটা না দেখে বলতে পারব না। তবে আমি ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি দেখব।
ফরিদপুরের এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহিদুজ্জামান খান বাংলানিউজকে বলেন, এখন তো কোরবানির ঈদের বন্ধ। তাই ওই সড়কের কাজও বন্ধ থাকার কথা। আমরা ঈদের পরে খোঁজখবর নিয়ে দেখব।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল আহসান তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, এ ব্যাপারে দ্রুতই খোঁজখবর নিয়ে দেখছি। কোনো অনিয়ম পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২৪
এসআরএস