মাদারীপুর: জেলার শিবচরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ড্রেজিং প্রকল্পের বালু স্থানীয় একটি মহল বিক্রি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিজেদের জমির ওপর বালু রাখা হয়েছে এমন অজুহাত দেখিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে ভেকু (মাটি খনন যন্ত্র) দিয়ে ওই জমির ওপর থেকে বালু তুলে বিক্রি করা হচ্ছে।
ঘটনাটি ঘটেছে শিবচর উপজেলার নিলখী ইউনিয়নে।
জানা গেছে, মাদারীপুর পাউবোর নদী খনন প্রকল্পের বালু নিলখী ইউনিয়নের ‘বস্তির ঘাট’ নামে এলাকায় নদীর পাড়ে রাখা হয়েছে।
এদিকে, খনন প্রকল্পের ওই বালু জেলা প্রশাসন থেকে ইজারা নেওয়া ব্যক্তিরা বিষয়টি নিয়ে শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগও দিয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নিলখী ইউনিয়নের আড়িয়াল খাঁ নদের পশ্চিমপাড়ে মাদারীপুর পাউবোর নদী খনন প্রকল্পের বালু তুলে নদীর পাড়ে রাখা হয়েছে। ওই বালু জেলা প্রশাসন থেকে ইজারার মাধ্যমে মো. ওয়াসিম মাতুব্বর নামে এক ব্যক্তি নামে বরাদ্দ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এদিকে নদী থেকে উত্তোলনকৃত বালু স্থানীয় মো. জামাল হোসেন নামে এক ব্যক্তির জমিতেও গড়িয়ে পড়েছে। নিয়ম অনুযায়ী ফসলি জমিতে বালু থাকলে ওই ব্যক্তি জমির ফসলের ক্ষতিপূরণের আর্থিক টাকা পাবেন। এদিকে ইজারাকৃত ব্যক্তি ওই জমির খাজনার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও বেশ কিছুদিন ধরে দিন-রাত জমিতে থাকা বালু কেটে বিক্রি করে দিচ্ছেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি নদীর পাড়ের মাটিও অবৈধভাবে কেটে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে করে নদী ভাঙনের হুমকিও তৈরি হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাউবোর খননের বালু নদীর পাড়েই জায়গা করে রাখা হয়েছে। বালুর ওই বেড থেকে প্রচুর পরিমাণে বালু পাশের জমিতেও গড়িয়ে পড়েছে। ওই জমির বিপুল পরিমাণ বালু ভেকু দিয়ে উঠিয়ে বিক্রি করে দিচ্ছেন জমির মালিক। এ পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ ফুট বালু বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ইজারা প্রাপ্তরা।
অভিযুক্ত মো. জামাল হোসেন বলেন, ‘এটাতো আমাদের কাগজের জমি। যেহেতু তারা অভিযোগ দিয়েছেন, বিষয়টি আমি আলোচনা করে দেখব। ’
এ বিষয়ে বালুর ইজারাদার ওয়াসিম মাতুব্বর বলেন,‘আমি একজন ইজারাদার হিসেবে আমার সরকারি টেন্ডারে পাওয়া বালুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ইউএনওসহ থানা পুলিশের কাছে আইনগত ব্যবস্থা নিতে অভিযোগ দিয়েছি। '
শিবচর ইউএনও আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন,‘আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। খোঁজ নিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। '
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২৪
এসআরএস