বরিশাল: বরিশাল নগর থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য পরিষ্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন সিটি করপোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত। বর্জ্যের কারণে যাতে কোনোভাবেই নগরবাসী কষ্ট না পান সেদিকে খেয়াল রাখা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
রোববার (১৬ জুন) দুপুরে নগরের বান্দরোডে কেন্দ্রীয় হেমায়েত উদ্দিন ঈদগাহ মাঠ পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
মেয়র বলেন, নগর ভবনের ১ হাজার কর্মী বর্জ্য অপসারণের কাজে নিয়োজিত থাকবে। আর এ কাজ মনিটরিং করবে সংশ্লিষ্ট কমিটি।
এরই মধ্যে ওয়ার্ড পর্যায়ে পর্যাপ্ত বস্তা ও জীবাণুনাশক হিসেবে ব্লিচিং পাউডার দিয়ে দেওয়া হয়েছে। বস্তাগুলো দেওয়ার পেছনে কারণ, নগরবাসী যেন কোরবানির পশুর বর্জ্য যেখানে সেখানে না ফেলে বস্তাবন্দী করে নির্ধারিত স্থানে রাখতে পারে। সেইসাথে জীবাণুনাশক দিয়ে পশু কোরবানিস্থল জীবাণুমুক্ত করতে পারে। এ জন্য নগরবাসীকেও সহযোগিতা করতে হবে।
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় হেমায়েত উদ্দিন ঈদগাহ মাঠে বরিশালের প্রধান ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে তাই এটিতে সেইভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। এখানে নিরাপত্তার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সিসি ক্যামেরাও বসানো হয়েছে। আমি আশা করি নগরবাসী ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ ঈদুল আযহা উদযাপন করবেন।
সিটি করপোরেশনের সহকারী পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী জানিয়েছেন, বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৩০টি ওয়ার্ডে পশু কোরবানির জন্য ২২০টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। যেখানে নগরবাসী পশু কোরবানি দেবেন। আর কোরবানির বর্জ্য ও জীবাণু ছড়িয়ে পড়া রোধে প্রতিটি ওয়ার্ডে ৫০০ করে বস্তা ও ৫০ কেজি করে ব্লিচিং পাউডার দেওয়া হয়েছে।
ঈদুল আযহার দিন দুপুরে (২টা থেকে) সিটি করপোরেশনের প্রায় ১ হাজার কর্মী নগর পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করবে। আর এ কাজে প্রায় ২৫টি ট্রাক কোরবানির পশুর বর্জ্য ডাম্পিং স্থলে নিয়ে যাবে এবং শহর ধোয়ার কাজ করবে।
পরিচ্ছন্নতা বিভাগের তথ্যানুযায়ী দুপুর সোমবার ২টা থেকে বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু করে রাত ৮টার মধ্যে তা শেষ করা সম্ভব হবে। আর ঈদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনে কেউ পশু কোরবানি দিলে তা নিয়মিত কাজের সাথেই অপসারণ সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২৪
এমএস/এমজে