মাদারীপুর: জেলার কালকিনিতে ককটেল হামলায় পাঁচজন আহত হয়েছেন।
বুধবার (১৯ জুন) সকালে উপজেলার সাহেবরামপুর ইউনিয়নের আন্ডারচর গ্রামের গোলপাতা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- মো. জাকির হোসেন বেপারী (৪৫), এনামুল হক সরদার (৪২), জামাল আকন (৫৫), এমদাত হোসেন (৫০) ও আসাদ সরদার (৩৫) আহত হন। এরা সবাই আন্ডারচর গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, ঈদের পরের দিন মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাতে আন্ডারচর গ্রামে স্থানীয় কিছু কিশোরদের সঙ্গে খেলাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে বুধবার সকালে আন্ডারচর গ্রামের গোলপাতা বাজারে সালিশ বৈঠকে বসার কথা হয়। কিন্তু এর আগেই স্থানীয় স্বপন সরদারের নেতৃত্বে চুন্নু বেপারী, রাকিব বেপারীসহ অর্ধশত লোকজন মিলে জাকির হোসেন বেপারীর লোকজনের ওপর হামলা চালান। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণে একই গ্রামের ওই পাঁচজন আহত হন। আহতদের মধ্যে জাকিরের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া এনামুল হক সরদার কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন। বাকি তিনজন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিলে গেছেন।
আহত এনামুল হক সরদার বলেন, ‘আমরা সালিশ শুনতে এসেছিলাম। এমন সময় হঠাৎ পেছন থেকে ককটেল হামলা হয়। ককটেল বিস্ফোরণে আমরা পাঁচজন আহত হয়েছি।
অভিযুক্ত স্বপন সরদার ঘটনার পর থেকে পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শিখর বলেন, বুধবার সকালে জাকির নামে একজন আহত রোগী হাসপাতালে আসেন। তার বাম পায়ে বড় একটা গর্ত আছে। তার অনেক রক্ত ঝরেছে। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ঝলসে গেছে। তাছাড়া প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তার পায়ে স্প্রিন্টার থাকতে পারে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ককটেল হামলার ঘটনার খবর পেয়েছি। তবে এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৮ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২৪
এসআরএস