গাইবান্ধা: বৃষ্টি ও উজানের ঢলে গাইবান্ধার তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও করতোয়াসহ সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে সুন্দরগঞ্জ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বুধবার (১৯ জুন) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তিস্তার পানি (কাউনিয়া পয়েন্টে) বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
এছাড়া ব্রহ্মপুত্র নদের পানি (ফুলছড়ি পয়েন্টে) ১১৫ সেন্টিমিটার ঘাঘট নদীর পানি (নতুন ব্রিজ পয়েন্টে) ১৬৭ সেন্টিমিটার ও করতোয়া নদীর পানি (চকরহিমাপুর পয়েন্টে) বিপৎসীমার ২৬৩ সেন্টিমিটার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে।
ফলে গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার নদীবেষ্টিত চরাঞ্চলে বেশ কিছু স্থান প্লাবিত হয়েছে। একই সঙ্গে সুন্দরগঞ্জের কাপাসিয়া এলাকায় পানি বৃদ্ধির ফলে কিছু সংখ্যক ঘর-বাড়িতে পানি উঠতে শুরু করেছে। এতে নদী তীরবর্তী মানুষেরা গৃহপালিত পশু নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
স্থানীয়রা জানায়, গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে জেলার সবগুলো নদ-নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে নদীর তীরবর্তী ও নিচু এলাকার বেশ কিছু ঘর-বাড়ি ও বিভিন্ন ফসল পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। নদ-নদীগুলোর পানি বৃদ্ধির কারণে কামারজানি, কাপাসিয়া, এরেন্ডাবাড়ী, ঘাগোয়া, হরিপুর, ফজলুপুর ও তারাপুরসহ নিচু এলাকায় পানি উঠতে শুরু করেছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, গাইবান্ধার সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) থেকে পানি আবার কমতে পারে।
** বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি, বন্যার আশঙ্কা রংপুরেও
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২৪
এসআরএস