ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বিয়ে বাড়িতে উচ্চশব্দে গান, সংঘর্ষে কনেসহ আহত ১০ 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২০ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২৪
বিয়ে বাড়িতে উচ্চশব্দে গান, সংঘর্ষে কনেসহ আহত ১০ 

লালমনিরহাট: বিয়ে বাড়িতে সাউন্ড বক্সে উচ্চশব্দে গান বাজানো নিষেধ করা নিয়ে সংঘর্ষে কনেসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২১ জুন) বিকেলে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের রমনীগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- রমনীগঞ্জ এলাকার আব্দুর রহমান (৪৫), স্ত্রী সাহিনা আক্তার সাইনা (৪০), মেয়ে বিয়ের কনে রুমানা আক্তার লিমা (১৯), ছেলে সাকিল (২২), সাইদের স্ত্রী হালিমা বেগম এবং অপরপক্ষে একই এলাকার আমির আলী (৫৫), রুহুল আমিন (২০), সাইফুল ইসলাম (১৪) ও নজরুল ইসলাম।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রমনীগঞ্জ এলাকায় আব্দুর রহমানের মেয়ে রুমানা আক্তার লিমার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা চলছিল নিজ বাড়িতে। অনুষ্ঠানে সাউন্ড বক্সে উচ্চশব্দে গান বাজানো হচ্ছিল। একই সময় পাশের বাড়ির আমির আলীর বাড়িতে চলছিল মিলাদ মাহফিল। উচ্চশব্দে গান বাজানোয় মিলাদে বিঘ্ন ঘটছিল। যে কারণে সাময়িক সময়ের জন্য বিয়ের বাড়িতে বাজানো গানের সাউন্ড কমাতে বলা হয়। কিন্তু বিয়ে বাড়ির লোকজন সাউন্ড না কমিয়ে উল্টো বাড়িয়ে দিলে প্রথমে কথা কাটাকাটি শুরু হয়, পরে উভয়পক্ষের মধ্যে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে বিয়ের অনুষ্ঠানের কনেসহ দুপক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে আহতদের উদ্ধার করে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ জনকে ভর্তি করে।

হাসপাতালের বেডে থাকা বিয়ের কনে রুমানা আক্তার লিমা বলেন, আমার  বিয়ের অনুষ্ঠানে বক্স বাজিয়ে গান শুনছিল ভাই। এ সময় আব্দুর রহমানের ছেলে এসে ভাইকে মারধর করে। একে একে তারা এসে বিয়ের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। অতিথিদের জন্য আয়োজনের খাবার সব নষ্ট করে ফেলেছেনও তারা।  

এদিকে আমির আলী বলেন, মিলাদে বিঘ্ন ঘটে উচ্চশব্দের সাউন্ড বক্সের গান-বাজনা। তাই প্রথম দিকে শব্দ কমিয়ে দিতে বলা হলে তারা উল্টো বাড়িয়ে দেন এবং গালমন্দ করেন। এনিয়ে তারাই আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে পাঁচজনকে জখম করেছেন।  

হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা মেডিকেল অফিসার ড. আল আকসা বলেন, আহতদের ১০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে সবাই শঙ্কামুক্ত রয়েছেন।

হাতীবান্ধা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, খবর পাওয়া মাত্র অফিসার পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।