কুমিল্লা: কুমিল্লার হোমনা উপজেলার চান্দেরচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হককে গুলি করে হত্যার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ক্ষেমালিকা চাকমার বিরুদ্ধে।
শনিবার (২২ জুন) অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ জুন সকাল ১০টায় ঈদুল আজহা উপলক্ষে দরিদ্রদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্দ ঈদ উপহার হিসেবে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ শুরু হয়। এসময় হোমনা ইউপি সচিব মনির হোসেন ও উপজেলা ট্যাগ অফিসারের প্রতিনিধি এনামুল হক উপস্থিত ছিলেন। ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক অসুস্থতার কারণে চাল বিতরণ কার্যক্রমে অনুপস্থিত ছিলেন। সকাল সোয়া ১০টায় ওই ইউনিয়নের তিনজন মেম্বার চাল বিতরণে বাধা দিয়ে বলেন, ইউএনও সাহেব ও ট্যাগ অফিসার তাদেরকে বলেছেন লিস্ট ছাড়া তাদের কথামতো চাল বিতরণ করতে হবে। ইউপি চেয়ারম্যান ইউএনওকে ফোন দিয়ে বিস্তারিত জানান। তখন ইউএনও মোবাইল ফোনে ওই ইউপি চেয়ারম্যানকে বলেন, মেম্বারদের সঙ্গে সমন্বয় করে চাল দিয়া দেন বা ফালাইয়া দেন বা যা খুশি তা করেন।
পরে ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক ফোনে ইউএনওকে বলেন, গত ১১ জুনের লিস্ট মোতাবেক কার্ড বণ্টন হয়ে গেছে। এখন কীভাবে আমি মেম্বারদের সঙ্গে সমন্বয় করে চাল দেব? তখন ইউএনও ওই চেয়ারম্যানকে বেয়াদব বলে গালি দেন ও সামনে থাকলে গুলি করবেন বলে হুমকি দেন।
এই বিষয়ে চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বলেন, তিনি যেসব কথা বলেছেন তার কল রেকর্ড বের করলে সব প্রমাণ হবে। গরিব মানুষের চাল খেতে জনপ্রতিনিধি হইনি। আমি কোনো অনিয়ম করলে তিনি প্রমাণ দেখাক।
হোমনা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ক্ষেমালিকা চাকমা বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে চাল বিতরণ করতে দিয়েছিলেন, তিনি (ইউপি চেয়ারম্যান) সেটায় অনিয়ম করতে চেয়েছিলেন। বাধা প্রদান করায় এসব অভিযোগ তুলছেন। আমার কাছে কি কোনো গুলি আছে যে আমি ওনাকে গুলি করার হুমকি দেব?
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৩ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২৪
এসএএইচ