ঢাকা, বুধবার, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জমি বিরোধের জেরে শিশুর জিভ কেটে দিল প্রতিবেশী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৫ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২৪
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জমি বিরোধের জেরে শিশুর জিভ কেটে দিল প্রতিবেশী সাইম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ছবি: বাংলানিউজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বাড়ির জায়গার সীমানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে সাইম (১০) নামে এক শিশুর জিভ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে।  

শিশুটি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।

তার জিভ ও ঠোঁটের ক্ষতস্থানে ৮-১০টি সেলাই দেওয়া হয়েছে।  

গত শুক্রবার (২১ জুন) উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সাইম নাটঘর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের মালেক মিয়ার ছেলে।

আহত শিশুর পরিবার জানায়, পাশের বাড়ির কাউসার মিয়ার সঙ্গে বাড়ির জায়গার সীমানা নিয়ে এক বছর ধরে বিরোধ চলে আসছিল মালেক মিয়ার পরিবারের। শুক্রবার সকালে কাউসার মিয়া বিরোধপূর্ণ জায়গার সীমানা খুঁটি তুলে আরেক জায়গায় বসিয়ে দেন। ঘটনাটি দেখে ফেলে মালেক মিয়ার ছেলে সাইম। সে বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি খুলে বলে।

কিছুক্ষণ পর বিষয়টি জানতে পেরে সাইমকে খুঁজতে থাকেন কাউসার। এক পর্যায়ে সাইম বাড়ি থেকে বের হলে তার ওপর দা-ছুরি ও লাঠি-সোঁটা নিয়ে হামলা চালান কাউসার মিয়া ও তার লোকজন। সাইমকে বেদম পিটিয়ে এক পর্যায়ে তার জিভে ছুরি ঢুকিয়ে দেন তারা। তার ঠোঁটের কিছু অংশ কেটেও ফেলা জয়। এতে শিশুটি গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।

সাইমের মা পারভীন বেগম বলেন, আমার ছেলের জিভ ও ঠোঁট নৃশংসভাবে কেটে দেওয়া হয়েছে। এখন সে হাসপাতালে কাতরাচ্ছে। তিন দিন ধরে তাকে কিছু খাওয়াতে পারছি না। এ ধরনের বর্বরতা মেনে নেওয়া যায় না। আমি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক রতন কুমার ঢালী বলেন, শিশুটির জিভ ও ঠোঁটে জখম হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার জিভে সাতটি সেলাই করা হয়েছে। চিকিৎসকরা তাকে যথাযথ চিকিৎসা দিচ্ছেন। তার অবস্থা উন্নতির দিকে।

নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম বলেন, শিশুটি জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। লিখিত অভিযোগ হাতে পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২৪
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।