ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ জুন ২০২৪, ২০ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

মৌলভীবাজারে বন্যার পানি কমলেও কমেনি দুর্ভোগ

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১১ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২৪
মৌলভীবাজারে বন্যার পানি কমলেও কমেনি দুর্ভোগ জুড়ী উপজেলায় বন্যায় ডুবে আছে সড়ক-জনপদ। ছবি: বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: উজানে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় মৌলভীবাজারের সীমান্তবর্তী ও হাকালুকি হাওর পাড়ের উপজেলা জুড়ীতে বন্যার পানি কিছুটা কমেছে। তবে, কমেনি জনজীবনের দুর্ভোগ।

বৃষ্টি হলে আবার বন্যার পানি বৃদ্ধির শঙ্কায় আছেন বন্যার্ত মানুষ। ফলে বন্যার পানি ধীরগতিতে কমলেও কমছে না বানভাসি মানুষের বিড়ম্বনার আগাম ভাবনা।

বাড়ি-ঘর, রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখন পানিতে তলিয়ে আছে। হাকালুকি হাওর পাড়ের গ্রামগুলোতে এখনও পানি আছে। বন্যার্তদের মধ্যে কেউ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। আবার অনেকেই নিজের গবাদি পশু নিয়ে উঁচু স্থানে অবস্থান করছেন। এখন ওইসব এলাকার বানভাসি মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।

জুড়ী নদীর পানি বিপদসীমার ২০৯ সে.মি. থেকে কমে এখন বিপদসীমার ১৮০ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পবিত্র ঈদুল আযহার দিন ভোর থেকে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে এবং উজানের পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজারের জুড়ীতে অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছেন। উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের প্রায় ৭০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তাদের কেউ কেউ আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে উঠেছেন।

২৬টি আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে অধিকাংশেই বানভাসিরা শুকনো খাবার ছাড়া কিছুই পাননি। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন সমস্যা আছে।

সোমবার (২৪ জুন) জুড়ী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, সীমান্তবর্তী ও হাকালুকি হাওর পাড়ের উপজেলা জুড়ীতে বন্যার পানি কমেছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জুড়ীতে ১১০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে ২৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে এখন পর্যন্ত ৩৭৩টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন। ইতোমধ্যে বন্যার্ত মানুষের জন্য ৮০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং নগদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।

মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাবেদ ইকবাল বলেন, জুড়ী নদীর পানি বিপদসীমার ২০৯ সে.মি. থেকে কমে এখন পর্যন্ত বিপদসীমার ১৮০ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সময়: ১০০৯ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২৪
বিবিবি/এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।