সিলেট: জেলায় তিন ঘণ্টার ব্যবধানে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাস ও সিএনজি অটোরিকশার চালক নিহত হয়েছেন। এছাড়া পরিবহনগুলোয় থাকা তিন যাত্রী আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ভোর ৩টায় সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের খানুয়া নামক স্থানে ট্রাক-সিএনজি অটোরিকশার এবং সকাল ৬টার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজার এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহত মাইক্রোবাসচালক মোহাম্মদ আলী (৫২) শরিয়তপুর জেলার ডামুইড্ডা ফুলপুর এলাকার মকবুল হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় আহত হন ঢাকার বাড্ডা এলাকার বাসিন্দা রামিম আহমদ (৩২)।
এছাড়া ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন সিএনজি অটোরিকশাচালক সাজু মিয়া (২৫)। তিনি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার সালদিঘা গ্রামের ময়না মিয়ার ছেলে।
সিলেট তামাবিল হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট বাহারুল সোহাগ বাবু জানান, একটি বেসরকারি সিগারেট কোম্পানির ট্রেনিংয়ের জন্য চার কর্মকর্তা ঢাকা থেকে সিলেট যাচ্ছিলেন। পথে নাজিরবাজারে ঢাকাগামী একটি বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসটির সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা মাইক্রোবাসচালক মোহাম্মদ আলী মারা যান। এ ঘটনায় সঙ্গে থাকা রামিম আহমদ গুরুতর আহত হন।
পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন হতাহতদের উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে পাঠান। গুরুতর আহত রামিম আহমদের ডান হাত ও বাম পা ভেঙে গেছে।
সিলেটের ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, হতাহতদের হাইওয়ে পুলিশ উদ্ধার করেছে এবং দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি জব্দ করা হয়েছে।
এদিকে, দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান বলেন, ভোর ৩টার দিকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা এলাকার খানুয়া নামক স্থানে ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজিচালক সাজু মিয়া ঘটনাস্থলে মারা যান। দুর্ঘটনায় সিএনজি অটোরিকশায় থাকা দুই যাত্রী আহত হন। তবে তাদের অবস্থা গুরুতর নয়। দুর্ঘটনায় নিহত চালকের মরদেহ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া দুর্ঘটনা কবলিত সিএনজি অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়েছে। তবে ট্রাক নিয়ে চালক পালিয়ে গেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২৪
এনইউ/এসআইএ