নাটোর: সালিশ বৈঠকে স্বামীর বিরুদ্ধে পটল চুরির সাক্ষী দিতে চাওয়ায় স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা কারার অভিযোগে মো. হাসমত আলীকে (৪৮) আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৮ জুন) বিকেলে বাগাতিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নান্নু খান বাংলানিউজকে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতের কোনো এক সময় জেলার বাগাতিপাড়া উপজেলার জামনগর ইউনিয়নের হাপানিয়া গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। ঘটনার পর থেকে সুফিয়ার স্বামী ও শিশু সন্তান নিখোঁজ ছিলেন।
খবর পেয়ে ওই দিন সকালে নিজেদের ঘর থেকে সুফিয়া খাতুনের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
জানা যায়, মো. আসমত আলী (৪৮) একজন পেশাদার চোর। সম্প্রতি বাড়ির পাশের এক প্রতিবেশীর জমি থেকে পটল চুরি করার ঘটনায় তাকে নিয়ে শুক্রবার এলাকায় সালিশী বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। আর সেই সালিশ বৈঠকে স্বামীর বিরুদ্ধে সাক্ষী দেবেন বলে জানান স্ত্রী সুফিয়া খাতুন (৪০)। কিন্তু স্বামী বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি। এক পর্যায়ে সাক্ষী দিতে যাওয়ার আগেই তাকে নির্মমভাবে খুন করেন হাসমত আলী। পরে নিজের শিশু সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যান তিনি। তাতেও শেষ রক্ষা হলো না তার। অবশেষে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন ঘাতক স্বামী।
ওসি মো. নান্নু খান জানান, হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। অন্যদিকে আসমত আলীকে গ্রেফতার ও শিশু সন্তানকে উদ্ধারে পুলিশি তৎপরতা শুরু করা হয়। এক পর্যায়ে আসমত আলীর মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে প্রযুক্তির সহায়তায় তার অবস্থান শনাক্ত করার পর তাকে গ্রেপ্তার র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব-১২) এর কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-১২ সদস্যরা দুপুরের দিকে সিরাজগঞ্জের চলনবিল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার ও শিশু সন্তানকে উদ্ধার করেন।
তিনি আরও জানান, তারা ইতোমধ্যে বাগাতিপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। আসমত আলীকে হাতে পাওয়ার পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২৪
এসএম