ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে চিকিৎসক-স্টাফদের ওপর হামলার অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৪ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২৪
পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে চিকিৎসক-স্টাফদের ওপর হামলার অভিযোগ

পঞ্চগড়: আধুনিক সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক ও স্টাফ নার্সদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে রোগীর সঙ্গে আসা স্বজনদের বিরুদ্ধে।  

এ ঘটনায় রোববার (৩০ জুন) দুপুরে পঞ্চগড় সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মহিউদ্দীন।

এর আগে শনিবার রাতে হামলার এ ঘটনাটি ঘটে।  

অভিযুক্তরা হলেন- পঞ্চগড় সদরের ধাক্কামারা ইউনিয়নের খোলাপাড়া গ্রামের হাছান তারেকের ছেলে রাব্বি (২৫), রাব্বির বাবা হাসান তারেক (৫২) ও সদরের কাসাতপাড়া এলাকার আব্দুল হাকিমের ছেলে মানিক মিয়া (৪২)।  

জানা গেছে, অসাবধানবসত গরম চা পড়ে বুক ও পেট ঝলসে যাওয়া আহত আয়ান (১৪ মাস) নামে এক শিশুকে নিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসেন স্বজনরা। এ সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক নারীর মৃত্যুর রিপোর্ট দিচ্ছিলেন চিকিৎসক তৌহিদুল ইসলাম ভুঁইয়া।  

এর মধ্যেই অভিযুক্তরা উত্তেজনাপূর্ণ উগ্র আচরণ শুরু করে জরুরি বিভাগে দায়িত্বে থাকা সিনিয়র স্টাফ নার্স মহিউদ্দীনের ওপর চড়াও হয়ে কিল ঘুসি দিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালান তারা।

সিনিয়র স্টাফ নার্স মহিউদ্দীন অভিযোগ করে বাংলানিউজকে বলেন, কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই আমাদের ওপর হামলা চালায় তারা। এ ঘটনায় আহত হলে চিকিৎসক আমাকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন। অভিযুক্তদের বিচার দাবি করছি।

হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার তৌহিদুল ইসলাম ভুঁইয়া বাংলানিউজকে বলেন, যখন অভিযুক্তরা আসেন তখন প্রচুর রোগীর চাপ ছিল। রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার মাঝে কারণ ছাড়াই অভিযুক্তরা হামলা চালায় এবং সরকারি কাজে বাধা প্রদান করেন। মূলত আমাকেই মারতে আসছিলেন তারা।

এদিকে শনিবার ভোর রাত সাড়ে ৪টার সময় শহরের মসজিদ পাড়া এলাকার তৌহিদুজ্জামান তার স্ত্রী নাজনীন নাহার বৃষ্টি তলপেটের ব্যথা অনুভব করায় প্রথমে দেশ ক্লিনিক পরে পঞ্চগড় সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন বলে জানা গেছে। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃষ্টি মৃত্যুবরণ করেন তিনি। রোগীর স্বামী তৌহিদুজ্জামান ভুল চিকিৎসায় স্ত্রীর মৃত্যুর অভিযোগ করে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নুরে আলমসহ সিনিয়র স্টাফ নার্স স্টাফদের ওপর অসৌজন্যমূলক আচরণ করে ডাক্তারের চেম্বার ভাঙচুর করেন।

পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রঞ্জু আহস্মেদ বলেন, শিশু আয়নকে নিয়ে চিকিৎসক ও কর্তব্যরতদের ওপর হামলার অভিযোগে একটি এজাহার পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনি নেওয়া হবে।  

তিনি আরও বলেন, এদিকে ভোর রাতে এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালে হামলার আরেক ঘটনায় অভিযুক্ত তৌহিদুজ্জামানকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।