ঢাকা, রবিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবিরে দুই গ্রুপের গুলিবিনিময়ে প্রহরী নিহত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ২, ২০২৪
উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবিরে দুই গ্রুপের গুলিবিনিময়ে প্রহরী নিহত

কক্সবাজার: কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রোহিঙ্গা শিবিরে ‘আধিপত্য বিস্তারের জেরে’ দুই গ্রুপের গুলিবিনিময়ে এক নৈশপ্রহরী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুই প্রহরী।

মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) লোকেরা এই সংঘাতে জড়িয়েছে বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) ভোরে উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের হাকিমপাড়া ১৪ নম্বর ক্যাম্পের ই-৩ ব্লকে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি) মো. আমির জাফর।

নিহত মো. সলিম (৩০) হাকিমপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-৩ ব্লকের মো. মকবুলের ছেলে। আহতরা হলেন একই ক্যাম্পের মো. আলমের ছেলে মো. ইউনুস এবং আরিফ উল্লাহর ছেলে সবি উল্লাহ। হতাহত তিনজনই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নৈশপ্রহরী হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন।

স্থানীয়দের বরাতে মো. আমির জাফর বলেন, সোমবার মধ্যরাতে হাকিম পাড়া ১৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-৩ ব্লকের বালুর মাঠ এলাকায় আরসা ও আরএসওর মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে এপিবিএনের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে ঘটনাস্থল থেকে একজনকে মৃত এবং দুইজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।  

আহতদের উদ্ধার করে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এমএসএফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আমির জাফর জানান, পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে আধিপত্য বিস্তারের জেরে রোহিঙ্গাদের দুই সন্ত্রাসী দলের মধ্যে সংঘর্ষে এ খুনের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন জানান, ঘটনাস্থল থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৯ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০২৪
এসবি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।