বাগেরহাট: ঘরে ঢুকে খাটে মায়ের মরদেহ আর ফ্যানের সঙ্গে বাবাকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলতে দেখে ছেলে মো. আল কাইয়ুম।
তার চিৎকারে বাড়ির ও আশপাশের লোকজন দ্রুত তার বাবাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যান তিনি।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটেছে বাগেরহাট সদর উপজেলার বৈটপুর এলাকায়।
নিহতরা হলেন বৈটপুর এলাকার ব্যবসায়ী মো. আবু দাউদ শেখ (৪৫) ও তার স্ত্রী কোহেলি সুলতানা লাকি (৩৮)।
নিহত দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। মেয়ে জান্নাতুল ফেরদাউস একাদশ শ্রেণিতে এবং ছেলে মো. আল কাইয়ুম সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার ফতেপুর বাজারে ইট, সিমেন্ট, বালু, রড ও রাইস মিলের ব্যবসা করতেন মো. আবু দাউদ শেখ।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান জানান, পারিবারিক কলহের কারণে স্বামী-স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
বেমরতা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য রেকসনা বেগম বলেন, খবর শুনেছি। কিন্তু কেন তারা এমন করেছেন, জানি না।
ফয়সাল আহমেদ নামের এক প্রতিবেশী বলেন, গতকাল রাতে আবু দাউদের ঘরের পাশে তার বড় ভাই নিজাম শেখের নাতনির জন্মদিনের অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠানে আবু দাউদের ছেলে-মেয়ে গেলেও, আবু দাউদ ও তার স্ত্রী যাননি। কেন যাননি এটি নিয়েও গুঞ্জন চলছে।
নিহতের ছেলের বরাত দিয়ে ফয়সাল আহমেদ আরও বলেন, ভোরে মো. আবু দাউদ হাঁটতে বেরিয়েছিলেন। হেঁটে এসে আবার নিজেদের কক্ষে যান তিনি। সকাল ৯টার দিকে স্থানীয় মিস্ত্রি এসে বার বার কলিং বেল চাপলেও দরজা না খোলায় আল কাইয়ুম তার দরজা খুলে বাবা-মায়ের ঘরে ঢোকে। এসময় সে খাটের ওপর মায়ের মরদেহ এবং বাবাকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখে চিৎকার করতে থাকে। পরে আশপাশের সবাই ছুটে যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১১ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০২৪
এসআই