টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
বন্যাকবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবারের সংকট। বন্যার্তরা জনপ্রতিনিধি ও সরকারের সহযোগিতা কামনা করছেন।
জানা গেছে, জেলার ৪০ হাজার ৬৬ হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। এ ছাড়া ৩৫ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। ৩০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানিয়েছে, টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, ঝিনাই নদীর পানি বিপৎসীমার ৯৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে ও ধলেশ্বরী নদীর পানি বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যাকবলিত কালিহাতীর দুর্গাপুর গ্রামের ফজলু মিয়া বলেন, আমাদের গ্রামের পাকা সড়কটি তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ পানিবন্দি। এখনো পর্যন্ত কোনো ত্রাণ পাইনি।
সদর উপজেলার দক্ষিণ খাস মগড়া গ্রামের আজিবর মিয়া বলেন, আমাদের গ্রামের প্রায় এক হাজার মানুষ পানিবন্দি। আমার মতো অনেকের পুকুরের মাছ চলে গেছে। এ ছাড়া পাট ও বিভিন্ন সবজির ক্ষেত তলিয়ে গেছে। আমাদের গ্রামের কাঁচা সড়কটি উঁচু করে পাকা করলে অনেকের দুর্ভোগ কমে যেতো।
রাবেয়া বেগম নামে এক নারী বলেন, ভোটের সময় মেম্বার-চেয়ারম্যানরা আসেন। এখন বিপদে আছি, এখন কেউ খোঁজ-খবর নিতে আসেন না। বন্যার সময় আমাদের খোঁজ-খবর নিলেও ভালো লাগে। এ ছাড়া সাপের আতঙ্কে আছি।
জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম বলেন, ছয় উপজেলার ১১ হাজার পরিবারের ৪৪ হাজার মানুষ পানিবন্দি। ভূঞাপুরে ৩০০, গোপালপুর ও কালিহাতীতে ১০০ প্যাকেট করে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া প্রতি উপজেলায় দুই হাজার করে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট দেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত জিআর চাল ও অর্থ বরাদ্দের জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। সোমবারের মধ্যে বরাদ্দ পাওয়া যেতে পারে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, সার্বক্ষণিক বন্যার খোঁজ-খবর রাখা হচ্ছে। বন্যা কবলিতদের যথাযথ সাপোর্ট দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০২৪
আরএইচ