রাজশাহী: মিনিমাল চেঞ্জ ডিজিজ (MCD) কিডনি রোগে আক্রান্ত বোনকে বাঁচাতে সাহায্যের অনুরোধ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান। মেহেদী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের অ্যাগ্রোনমি অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগের শিক্ষার্থী।
তার বোন সোনালী আক্তার দশম শ্রেণির ছাত্রী। তাদের বাসা ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পান্তাপাড়া ইউনিয়নের পান্তাপাড়া গ্রামে। বাবা-মা ও এক বোনকে নিয়ে তার মোট চারজনের পরিবার। তার বাবা মো. সিরাজুল ইসলাম একজন দিনমজুর এবং মা ফরিদা খাতুন একজন গৃহিনী।
রাবি শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, সর্ব প্রথম যশোরে ২০২২ সালের মে মাসে আমার বোনের এ রোগটি ধরা পড়ে। চিকিৎসকের নিদের্শনা অনুযায়ী ওষুধ চলছিল। পরবর্তীতে ২০২২ সালের জুলাই মাসের শুরুতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। রেনাল বায়োপসিসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মিনিমাল চেঞ্জ ডিজিজ ধরা পরে এবং ডাক্তার জানিয়েছেন যে, কিডনির ছাকুনি ছিদ্র হয়ে গেছে ছয় মাস ওষুধ খেতে হবে। তারপর কিছু ওষুধ দিয়ে এক মাস পর চেক আপের জন্য আসতে বলে। চিকিৎসা চলাকালীন আবার ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে সারা শরীর ফুলে গেলে আবারও তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা বিভিন্ন পরীক্ষা করে ওষুধ দিলেন এবং ১০ দিন হাসপাতালে থাকার পর রিলিজ দিলেন এবং ১ মাস পর আবার চেকআপের জন্য আসতে বলেন। এভাবে চিকিৎসা চলতে থাকে ১ বছর ২ মাস।
মেহেদী আরও বলেন, এ বছরের মে মাসে তার বোন আবারও অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং তাকে ঢাকায় নিয়ে এসে চিকিৎসকের পরামর্শনুযায়ী হাসপাতালে ভর্তি করেন। ডাক্তার পরীক্ষা নিরীক্ষা জানান যে এর উন্নত চিকিৎসার জন্য ৬-৭ লাখ টাকার মতো প্রয়োজন।
কিন্তু তার পরিবারের পক্ষে এই চিকিৎসার বিশাল ব্যয় বহন করা সম্ভব নয়। তাই বোনের চিকিৎসার জন্য সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে সাহায্যের আবেদন জানান তিনি। যে যা পারেন তা দিয়েই সাহায্য করলে হয়তো তার বোনকে ফিরে পাবেন বলেও জানান রাবির এই শিক্ষার্থী।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২৪
এসএস/এএটি