শরীয়তপুর: পদ্মা সেতুর শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্ত এবং সংলগ্ন এলাকায় ছাত্রলীগ ও কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী তিন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
জানা যায়, গত ১ জুলাই থেকে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলো সাধারণ শিক্ষার্থীরা। যদিও প্রথম আন্দোলনের শুরুটা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। তবে সোমবার শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা ও সংঘর্ষের পর গত মঙ্গলবার বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে।
সারা দেশের মত এই আন্দোলনে অংশ নিয়ে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে বুধবার বেলা ১১ টার দিকে শরীয়তপুরের জাজিরায় পদ্মাসেতু সংলগ্ন জমাদ্দার মোড়ে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। পরে স্থানীয় ছাত্রলীগ কর্মীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। ৩০ মিনিট চলা এই ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় আন্দোলনকারীরা পিছু হটলে সাড়ে ১২ টার দিকে সড়কটির নিয়ন্ত্রণ নেয় ছাত্রলীগ। এর আগে সকাল ১০ টার দিকে পদ্মা সেতু টোল প্লাজার সামনে শিক্ষার্থীরা জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে ছাত্রলীগের প্রতিরোধ পিছু হটে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আল ইসলাম নামের আহত এক শিক্ষার্থী বলেন, সারাদেশে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিচার চেয়ে আমরা আন্দোলন করছিলাম। প্রথমে আমরা পদ্মাসেতু দক্ষিণ থানার সামনে আসলে ছাত্রলীগ আমাদের উপর হঠাৎ করেই হামলা চালায়। আমরা পরবর্তীতে জমাদ্দার মোড়ে আসলে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায় তারা। এতে আমিসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছি।
এ ব্যাপারে জাজিরা উপজেলার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হৃদয় হোসেন মাদবর বলেন, কোটা আন্দোলনের নামে ছাত্রদলের ইন্ধনে কিছু কতিপয় শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক ও পদ্মা সেতু অবরোধ করার চেষ্টা করে। আমরা খবর পেয়ে ছাত্রলীগ সাধারণ জনগণের জানমাল নিরাপত্তায় সেসকল আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেই।
এ বিষয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) আহসান হাবীব বলেন, ছাত্রলীগ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিশৃঙ্খলার মত তুচ্ছ ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রদের আমরা বুঝিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। তাছাড়া পদ্মা সেতু এলাকায় সব ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ৫ টি স্থানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৭ ঘণ্টা,জুলাই ১৭,২০২৪
এমএম