ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন চট্টগ্রামের মুরাদনগরে ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া মারাত্মকভাবে আহত দুই শিক্ষার্থীকে দেখতে গেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকেলে তিনি বিএসএমএমইউ কেবিন ব্লকের সপ্তম তলায় আইসিইউ’র ১ নম্বর শয্যায় চিকিৎসাধীন মো. জালাল উদ্দিন (২৪) ও ডি ব্লকের সপ্তম তলায় অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের এমপি-৩৪ নম্বর শয্যায় চিকিৎসাধীন মো. ইকবালের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন।
১৮ বছর বয়সী জালাল উদ্দিন মুমূর্ষু অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। ২০ বছর বয়সী তরুণ মো. ইকবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. আলী ফয়সালের অধীনে চিকিৎসাধীন।
ইকবালের ভাই মো. এনাম জানান, ইকবাল চট্টগ্রাম কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ও ওই কলেজের ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদকের পদে দায়িত্ব পালন করছেন। ঘটনার দিন ছাত্রদল ও শিবিরের নেতা-কর্মীদের হামলায় তার ভাইয়ের পা, মাথা, কোমরসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।
এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, ডিন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বণিক, হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামান, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. রেজাউর রহমান, অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নাজির উদ্দিন মোল্লাহ, অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর চৌধুরী বিরু, সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. আলী ফয়সাল প্রমুখ।
গত ১৬ জুলাই চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় চট্টগ্রামের মুরাদনগরে একটি ভবনের ছাদ থেকে ছাত্রলীগের কমপক্ষে ১৫ জনকে নিচে ফেলে দেয় ও নারকীয়ভাবে হামলা চালায়। ওই ঘটনায় ছাত্রলীগের অর্ধশত নেতা-কর্মী মারাত্মকভাবে জখম হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২৪
আরকেআর/আরবি