ঢাকা: কোটা সংস্কার নিয়ে শুরু হওয়া আন্দোলন পরবর্তীতে সহিংসতায় রূপ নিলে গত শুক্রবার বনানীর বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআরটিএ) প্রধান কার্যালয় ও মিরপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে আন্দোলনকারীরা।
এরমধ্যে মিরপুর কার্যালয়ের ডাটা সেন্টার সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে এবং অটোমেটিক ড্রাইভিং মেশিনের সেটাপ ধ্বংস হয়।
বুধবার (২৪ জুলাই) থেকে বিআরটিএ প্রধান কার্যালয় পুনরায় চালু হলেও ভবনটির নিচের ফাঁকা জায়গায় তাবু টানিয়ে অফিস করছেন বিআরটির চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সংস্থাটি জানিয়েছে, প্রধান কার্যালয় ও মিরপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগে ফলে বিআরটিএর ৪ ধরনের সেবা অনির্দিষ্টকালের জন্যে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ সেবাগুলো হচ্ছে- ড্রাইভিং লাইসেন্স, রুট পারমিট, ফিটনেস সনদ ও গাড়ির নিবন্ধন প্রদান। এ ঘটনায় আলাদা দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান বিআরটিএ চেয়ারম্যান গৌতম কুমার পাল।
তিনি জানান, দুই তদন্ত কমিটিতেই ৭ কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। এরমধ্যে বিআরটিএর পুরো ক্ষতি নির্ণয়ে পরিচালক (অপারেশন) আজিজুল ইসলামকে প্রধান করে ৭ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। আর মিরপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের ক্ষতি নির্ণয়ে উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলামকে প্রধান করে ৫ সদেস্যর কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিআরটিএর প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান সংক্রান্ত মিরপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ে যে প্রকল্প চলছে ১৫০ কোটি টাকার সে প্রকল্পের যন্ত্রপাতি, সরঞ্জাম ও ই-সিস্টেমের ১০০ কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
অন্যদিকে বনানীর বিআরটিএর প্রধান কার্যালয়ে ৫০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। কার্যালয়ের প্রথম ও দ্বিতীয় তলার ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২৪
এনবি/জেএইচ