ঢাকা: ‘ঢাকায় খুন, ছিনতাই এবং ডাকাতি তীব্রভাবে বেড়েছে’ শিরোনামে দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত সংবাদে ‘ঢাকায় দুই মাসে ১৯২ জন নিহত হয়েছে’ বলে যে তথ্য দেওয়া হয়েছেন, সেটি সঠিক নয় বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্র দৈনিক প্রথম আলো গত ২ নভেম্বর প্রথম পাতায় একটি খবর প্রকাশ করে, যেখানে দাবি করা হয়েছে যে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে ঢাকায় খুন, ছিনতাই এবং ডাকাতি তীব্রভাবে বেড়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত খবরটি সত্য নয়। এটি ত্রুটিপূর্ণ এবং প্রতিবেদনের তথ্যগুলোর ফ্যাক্ট-চেক সঠিকভাবে করা হয়নি, যা অত্যন্ত বিপজ্জনক। এই প্রতিবেদনটি ধারণা দেয় যে, জুলাই ও আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানের পরপরই ঢাকায় অপরাধের মাত্রা তীব্রভাবে বেড়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) নিশ্চিত করেছে যে, রাজধানীতে এই সময়ে নিহত ব্যক্তির সংখ্যা ৬৮ (১৯২ নয়) এবং মোহাম্মদপুরে ১০ জন নিহত হয়েছেন (২১ নয়)। ডিএমপি এ বিষয়ে প্রথম আলোকে দেওয়া এক প্রতিবাদপত্রে ব্যাখ্যা করেছে যে, পত্রিকাটির খবরে দাবি করা তিনগুণ বেশি মৃত্যুর কারণ মূলত জুলাই-আগস্টে নিহতদের মধ্যে অনেকের পরিবার সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে হত্যা মামলা দায়ের করেছে। এই হত্যাকাণ্ড গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত হয়েছিল, কিন্তু পুলিশের রেকর্ডে এসেছে সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর মাসে।
প্রথম আলো ডিএমপির পাঠানো প্রতিবাদ প্রকাশ করেছে জানিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ডিএমপির স্পষ্ট ব্যাখ্যা সত্ত্বেও সংবাদপত্রটি তাদের প্রতিবেদন সংশোধন করেনি, যা রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে একটি ভুল ধারণা তৈরি করেছে। সরকার আশা করে, প্রথম আলো একটি দায়িত্বশীল সংবাদপত্র হিসেবে ডিএমপির ব্যাখ্যার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অনলাইনে তাদের প্রতিবেদনটি আপডেট করবে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বলা হয়, শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ভেঙে পড়া আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থাকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে এনে জনজীবনে স্বস্তি দেওয়ার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকার এবং পুলিশ কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ পুলিশ সদস্যদের মনোবল বাড়ানো এবং প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠনের কাজ চলমান। রাজধানীসহ সারাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০২৪
এমইউএম/এইচএ/