ভোলা: ছয়দিনেও বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি ভোলায়। ডুবে গেছে অনেক নলকূপ।
পানিবন্দি এলাকার বেশির ভাগ পরিবারে জ্বলছে না রান্না ঘরের চুলা। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে অনেকের। তবে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন শিশু ও বয়স্করা।
এদিকে জোয়ারের পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় দেখা দিয়েছে পানিবাহিত নানা রোগ।
২৪ ঘণ্টায় দুবার জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে ভোলা সদরের রাজাপুর, কাচিয়া, ধনিয়া, মাঝের চর, রামদাসপুর দৌলতখানের মদনপুর, মেদুয়া, হাজিপুর, তজুমদ্দিনের চর জহিদন উদ্দিন, চর মোজাম্মেল, লালমোহনের কচুয়াখালীর চর, চরফ্যাশনের ঢালচর, চর পাতিলা ও মনপুরার কলাতলীর চরসহ ৩০ গ্রাম। ফলে এসব গ্রামের ৫০ হাজার মানুষ দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন।
ভোলা সদরের রাজাপুর ঘুরে দেখা গেছ, বিস্তীর্ণ এলাকায় পানি আর পানি। নিম্নাঞ্চলে বাঁধ না থাকায় এভাবেই জেলার ৩০ গ্রামে লোকালয়ে প্রবেশ করছে জোয়ারের পানি। ডুবে গেছে ঘরবাড়ি, রাস্তা ঘাট। গত কয়েকদিন ধরে পানি বাড়ায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
ফলে দুর্গত এলাকায় দুর্ভোগের পাশাপাশি ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় চলছে।
পানিবন্দি রাবেয়া, ফাতেমা ও জোসনা বেগমসহ অনেকে জানান, পানির কারণে কষ্টে দিন কাটাছে তাদের। রান্না করতে পারছেন না।
রাজাপুর ৪ নম্বর ইউপির সদস্য মাসুদ রানা বলেন, পুরো ইউনিয়নের অন্তত দুই হাজার মানুষ পানিবন্দি। তাদের ত্রাণ দেওয়ার দাবি জানাই।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, গত কয়েকদিন ধরে মেঘনার পানি বিপৎসীমার ৮০ থেকে ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল, বিশেষ করে জোয়ারের সময় পানি উঠে যাচ্ছে অনেকের ঘরে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, আগামী তিন/চারদিনের মধ্যে পানি কমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। পূর্ণিমার ও উজানের পানির চাপে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, তবে কোথাও বাঁধের ক্ষতি হয়নি।
এদিকে দ্রুত পানি নেমে গেলে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন বলে মনে করছেন বন্যা কবলিত মানুষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২৪
এসআই