নীলফামারী: নীলফামারীতে গবাদি পশুর লাম্পি স্কিন রোগ দেখা দিয়েছে। সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় শতাধিক গরু মারা গেছে।
তবে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিয়ে গরুকে সারিয়ে তুলতে চেষ্টা করছেন অনেকে।
সদর উপজেলা পশু হাসপাতালের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. নাসরিন আকতার জানান, এটি করোনা ভাইরাসের চেয়েও মারাত্মক। এর কোনো চিকিৎসা আবিষ্কার হয়নি। ফলে এতে করে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে দেশি বিদেশি বাছুর। বাছুরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হওয়ায় মৃত্যু হার বেড়ে গেছে। গ্রামেগঞ্জে ছড়িয়ে পড়েছে এই রোগের প্রার্দুভাব। ফলে বিপাকে পড়েছেন কৃষক।
জেলা শহরের ভেটেরিনারি ওষুধের ব্যবসায়ী লতিফুল করিম জানান, এখন পর্যন্ত আমাদের দেশের সরকার কিংবা ওষুধ কোম্পানি লাম্পি স্কিন ভাইরাসের কোনো ওষুধ বা টিকা তৈরি করতে পারেনি। তাই দোকানে এই রোগের ওষুধ বা টিকা সাপ্লাই নেই। এলাকায় অসংখ্য গরু মরে যাচ্ছে। বিশেষ করে ছোট ছোট বাছুর। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় চিকিৎসা দিয়েও ভাল হচ্ছে না।
সদর উপজেলার কচুকাটা ইউনিয়নের বড়বাড়ী গ্রামের কৃষক সৈয়দ আলী, ইটাখোলা ইউনিয়নের সিংদই হাতিবান্ধা গ্রামের আশরাফ আলী জানান, সঠিক চিকিৎসার অভাবে এ রোগে আক্রান্ত গরুর সংখ্যা গ্রাম থেকে গ্রামে ছড়িয়ে পড়ছে। হাসপাতালে মিলছে না প্রতিষেধক। অনেকে মারা যাওয়ার ভয়ে কমদামে সুস্থ গরু বিক্রি করে দিচ্ছেন।
গরিবের সম্পদ গরু দাবি করে, ক্ষতিগ্রস্ত শাহজাহান ইসলাম বলেন, কোটি টাকা খরচ করে সরকার করোনার টিকা সরবরাহ করেছিল। কিন্তু লাম্পি ভাইরাসের টিকার অভাবে গ্রামে গঞ্জে গরু মারা যাচ্ছে। এ ব্যাপারে, সরকার বা প্রাণী সম্পদ বিভাগের কোনো মাথা ব্যথা নেই। সরকারের কাছে টিকা ও ওষুধ সরবরাহের জোড় দাবি জানাই।
জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সিরাজুল হক বলেন, এই রোগে জেলায় প্রচুর গরু আক্রান্ত হয়েছে এবং মারাও যাচ্ছে। তবে গ্রামের পশু চিকিৎসকরা অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে আক্রান্ত গরুগুলোর বেশি ক্ষতি করেছে। যার ফলে মৃত্যুর হার বেড়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, এই রোগের চিকিৎসা নেই এবং টিকাও আবিষ্কার হয়নি। তবে টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা চলছে। এক্ষেত্রে ঘা ফেটে গেলে কিটোপ্রোপেন বা প্যারাসিটামল জাতীয় ব্যথানাশক ওষুধ দিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২৪
এসএম