চাঁদপুর: শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে সহিংসতা, হামলা, ভাঙচুর ও গাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। এ সব ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে হাজীগঞ্জ থানায় ৪টি মামলা করে।
শনিবার (২৭ জুলাই) বিকেল পর্যন্ত সহিংসতায় অর্থ জোগানদাতা এবং জামায়াতের শীর্ষ নেতাসহ এ পর্যন্ত ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর গত শনিবার রাত থেকে হাজীগঞ্জে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সহিংসতায় জড়িতদের গ্রেপ্তার অব্যাহত রেখেছে।
হাজীগঞ্জে কাভার্ডভ্যানে পেট্রল বোমা মেরে হেলপার হত্যা, গাড়িতে আগুন, ভাঙচুর ও সড়কে ব্যারিকেড, পুলিশ ও সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য এবং ৩০২ ধারায় এসব মামলা হয়।
চার মামলায় পুলিশ জামায়াতের হাজীগঞ্জ উপজেলার সাবেক সেক্রেটারি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন পরানসহ বিএনপি ও জামায়াতের ২৫ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শনিবার সকালে হাজীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কয়েকজন নেতা জানান, গত ১৯ জুলাই রাতে দেশব্যাপী কারফিউ জারির পর হাজীগঞ্জে পুলিশের ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয়। এতে হাজীগঞ্জে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বেশ কয়েকজন নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন। পুলিশ নেতাকর্মীদের বাড়িতে হানা দিচ্ছে। ফলে গ্রেপ্তার এড়াতে সবাই যে যার মতো আত্মগোপনে চলে গেছেন। অনেকে বন্ধ করে রেখেছেন মোবাইল ফোন।
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রশিদ বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে যারা সহিংসতার ঘটনায় জড়িত, সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। কাউকে অন্যায়ভাবে হয়রানি করা হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, হাজীগঞ্জে সহিংসতা, গাড়িতে আগুন ও পেট্রল বোমা নিক্ষেপ করে কাভার্ডভ্যানের চালকের সহকারী হত্যার ঘটনায় হত্যা মামলাসহ চারটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২৪
জেএইচ