ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক জীবনে আনতে সরকারকে সহযোগিতা করব: মেয়র আতিকুল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২৪
শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক জীবনে আনতে সরকারকে সহযোগিতা করব: মেয়র আতিকুল

ঢাকা: কোটা সংস্কার আন্দোলনের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ও বিষাদগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনযাপনে আনতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

সোমবার (২৯ জুলাই) ডিএসিসির সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ডিএনসিসি এলাকায় অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজসমূহের উপাচার্য ও অধ্যক্ষদের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এই কথা জানান।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে আহত ও নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি কীভাবে আবার সুন্দর করে শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা স্বাভাবিক জীবনযাপনে আসতে পারে, সেই বিষয়ে আমরা (ডিএনসিসি) সরকারকে সহযোগিতা করব। এরই অংশ হিসেবে আমরা আজকে ডিএনসিসি এলাকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের উপাচার্য ও অধ্যক্ষদের সঙ্গে সভা করেছি। এটা আমাদের প্রথম সভা। আমরা এই বিষয়ে তাদের সঙ্গে আরো সভা করব।

আলোচনায় কীভাবে শিক্ষার পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে ফিরিয়ে আনা যায় সেই বিষয়ে উপাচার্য ও অধ্যক্ষদের কাছ থেকে বিভিন্ন সুপারিশ এসেছে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসি মেয়র।

সুপারিশগুলো হলো-

১) ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানো এবং নিহত শিক্ষার্থীদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো।

২) শিক্ষাঙ্গনে পড়াশোনার পাশাপাশি সংস্কৃতি ও খেলাধুলার ব্যবস্থা করা।

৩) শিক্ষার্থীদের ট্রমা কীভাবে দূর করা যায়, সেই ব্যবস্থা করা।

৪) সরকারি চাকরি ছাড়াও বিকল্প কর্মসংস্থান আছে সেটি শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারকে বোঝানো।

৫) ক্ষতিগ্রস্তদের (আহত-নিহত) আর্থিক সহায়তা দেওয়া।

৬) শিক্ষার্থীদের আইনগত সহায়তা দেওয়া।

৭) কেনো এই সহিংসতার ঘটনা ঘটলো সেটি গবেষণা করে বের করা।

৮) শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সম্পর্ক উন্নয়ন।

৯) বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন।

১০) পুনরায় পাঠদান কীভাবে শুরু করা যায় বা অনলাইনে পাঠদান শুরু করা যায় কিনা সেটি ভেবে দেখা।

১১) ইনফ্লুয়েন্সারদের দিয়ে শিক্ষার্থীদের সঠিক পথে প্রভাবিত করা।

১২) শিক্ষার্থীদের প্রতি কঠোর বক্তব্য না দিয়ে কোমলভাবে বক্তব্য দেওয়া।

এ সময় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রফেসর আব্দুল মান্নান চৌধুরী বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে চলে আপনারা সবাই জানেন। আমাদের শিক্ষক-শিক্ষিকারা চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অত্যাধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার প্রবর্তন করেছি। অনেক ছাত্র-ছাত্রী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে বের হওয়ার সাথে সাথে চাকরি পেয়ে যায়। তাদের অনেকে আবার সরকারি চাকরির জন্য চেষ্টা করে। সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে যে ৯০ শতাংশের ব্যবস্থা করেছে এর মধ্যে আমাদের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত এক শতাংশ শিক্ষার্থী চাকরি পাবে। আরেকটি বিষয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সব শিক্ষার্থী ধনী বাবা-মায়ের সন্তান মনে করে। কিন্তু সব শিক্ষার্থী ধনী বাবা-মায়ের সন্তান নয়। এটা একটা মিথ। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পাস করে বের হয়ে নিজেরাই চাকরির ব্যবস্থা করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন ও পরিবারকে স্বাবলম্বী করছেন। শিক্ষার্থীরা যেন বিভ্রান্তি না হয়। বিভ্রান্ত হলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী নাহিদ ইজহার খানসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের উপাচার্য ও অধ্যক্ষ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২৪
এসসি/ এমএমআই/এসএএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।