ঢাকা, বুধবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

খুলনায় শিক্ষার্থীদের মিছিল, ১৭ জন আটকের অভিযোগ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২২ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২৪
খুলনায় শিক্ষার্থীদের মিছিল, ১৭ জন আটকের অভিযোগ

খুলনা: খুলনায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মিছিল করতে চাইলে পুলিশের বাঁধার মুখে পড়ে। এ সময় পুলিশের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

আন্দোলনকারীদের ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে বাধ্য করে পুলিশ। ঘটনার সময় ১৭ জন শিক্ষার্থীকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ বলে অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুর ১২টায় মহানগরের রয়্যাল মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি সফল করতে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। এসময় পুলিশের বাধার মুখে পড়েন তারা। মিছিলের পূর্ব মুহূর্তে ১৭ ছাত্রছাত্রীকে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনকারীরা।

পুলিশ মিছিলরত ছাত্রছাত্রীদের ছত্রভঙ্গ করে দিলে মহানগরের আহসানউল্লাহ কলেজের ভেতরে ছাত্রছাত্রী ঢুকে গেট বন্ধ করে দেয়।

ময়লা পোতার মোড়ে শিক্ষার্থীরা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে বিক্ষোভ মিছিল করতে চাইলে পুলিশের সাথে আবারও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটে। পরে দুপুর ২টার দিকে শিক্ষার্থীরা আবারও জড়ো হয়ে ময়লা পোতা থেকে পুলিশের বাঁধা উপেক্ষা করে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রয়্যালের মোড়ে যান।

দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত এসব এলাকার দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের টহল দেখা গেছে।  

পুলিশের হাতে আটক আইডিয়াল কলেজের ছাত্রী অপরূপার মা দাবি করেন তার মেয়ে বাসা থেকে না বলে রয়্যালের মোড়ে শিক্ষার্থীদের সাথে আন্দোলন করতে আসে। পরে পুলিশ ১৭ জন শিক্ষার্থীকে আটক করে সদর থানায় নিয়ে যায়। সেখানে আমার মেয়েসহ ১১ জন মেয়ে রয়েছে।

আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন খান বাংলানিউজকে বলেন, দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত রয়েছি। কতজন শিক্ষার্থী আটক হয়েছে এখন বলতে পারবো না।

এর আগে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রাত ১১টার দিকে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় খুলনার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একাংশ।

খুলনা সার্কিট হাউজে খুলনা সিটি মেয়র, সংসদ সদস্য ও উপ-পুলিশ কমিশনারের সাথে বৈঠকের পর কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন তারা। কিন্তু শিক্ষার্থীদের আরেকটি অংশ, প্রত্যাহারের ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়কদের পক্ষে কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন তানভির আহমেদ। আর আজম খান কমার্স কলেজের পক্ষে ঘোষণা দেন শেখ রাসেল।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪২১ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২৪
এমআরএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।