বাগেরহাট: বাগেরহাটের পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খান বলেছেন, সুন্দরবনের মৎস্য সম্পদ হচ্ছে সোনার ডিমপাড়া হাঁস। কিন্তু ডিম দ্রুত পাওয়ার জন্য হাঁসের পেট চিরে ফেললে কি আর হাঁস থাকবে, থাকবে না।
কিছু দুষ্কৃতকারী কীটনাশক ব্যবহার করে সুন্দরবনের মৎস্য সম্পদ আহরণ করছেন। এতে সুন্দরবনের মৎস্য সম্পদ ধ্বংস হচ্ছে, প্রকৃতি ধ্বংস হচ্ছে, বিশ্ব ঐতিহ্য ধ্বংস হচ্ছে। সেই সঙ্গে সুন্দরবনের যে অপার সম্ভাবনা রয়েছে তাও শেষ হয়ে যাচ্ছে।
এই বিষ প্রয়োগকারীদের প্রতিহত করব। সময় এসেছে এসব দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে বিষ প্রয়োগকারীদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলব।
বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুরে জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, মূলত গুটি কয়েক মানুষ ও দাদন ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফার জন্য সুন্দরবনে বিষ প্রয়োগ করে। এসব বিষ উন্নতমানের। এর মধ্যে ভাগ রয়েছে, কিছু বিষ আছে শুধু চিংড়ি মাছ মারা যায়, কিছু আছে সাদা মাছ মারা যায়, আবার কিছুতে সব মাছ মরে যায়। বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি, বিষ প্রয়োগকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে। আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হবে। এক্ষেত্রে কারও কোনো সুপারিশ পুলিশ গ্রহণ করবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন- বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাগেরহাটের উপ-পরিচালক শঙ্কর কুমার মজুমদার, বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ এস এম রাসেল, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফেরদাউস আনছারি, সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিজিয়া পারভীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা নকিব সিরাজুল হক, সরদার শুকুর আহমেদ প্রমুখ।
এর আগে মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রায় মৎস্য চাষি, মৎস্য কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২৪
আরএ