ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পুলিশের সামনেই সাংবাদিককে টেনেহিঁচড়ে হেনস্তা করলেন ‘ছাত্রলীগকর্মী’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২, ২০২৪
পুলিশের সামনেই সাংবাদিককে টেনেহিঁচড়ে হেনস্তা করলেন ‘ছাত্রলীগকর্মী’ ভুক্তভোগী সাংবাদিক মাসুদ রানা

বরিশাল: পুলিশের সামনেই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) সাংবাদিক সমিতির সদস্য ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের সাংবাদিক মাসুদ রানাকে হেনস্তা করেছে ছাত্রলীগকর্মী পরিচয় দেওয়া আবুল খায়ের আরাফাত।  পাশাপাশি তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতও করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশের সহায়তায় স্থান ত্যাগ করে রেহাই পান ওই সাংবাদিক।

জানা গেছে, সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মেট্রোপলিটন বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রহমান মুকুল গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রিফ করার সময়ে ওই সাংবাদিককে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে শারীরিকভাবে হেনস্তা করে ছাত্রলীগের কথিত কর্মী। কিন্তু ওই সময় অন্য গণমাধ্যমকর্মীরা কেউ কিছু বুঝে উঠতে না পারায় প্রতিবাদও করেনি।

 তবে ঘটনাস্থলে থাকা সাংবাদিকরা জানান, ছাত্রলীগের কথিত কর্মী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস বিটের সাংবাদিক মাসুদ রানাকে তার সাথে যেতে টানাহেঁচড়া শুরু করে। ওইসময় মাসুদ রানা যেতে না চাইলে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করা হয়। তবে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওই সাংবাদিকের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে ছাত্রলীগ কর্মীকে সরিয়ে দেন। পরবর্তীতে সাংবাদিক মাসুদ রানাকে একটি থ্রি-হুইলারে উঠিয়ে বরিশাল শহরের দিকে পাঠিয়ে দেন বন্দর থানার ওসি।

মাসুদ রানা নিউজ পোর্টাল ঢাকা টাইমসের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য।

ভুক্তভোগী মাসুদ রানা বলেন, গত ২৯ জুলাই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার সময় আমি পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে (ভিডিও করলে) ছাত্রলীগ আমাকে নিষেধ করে। এরপরও কাজ চালিয়ে যাওয়ায় দূর থেকে আমাকে গালিগালাজ করে ও দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। তারই জের ধরে আজ (ওসির প্রেস ব্রিফিংয়ের ভিডিও নেওয়ার সময়) ছাত্রলীগের কর্মী দাবি করা এ.কে আরাফাত সবার সামনেই আমাকে পেছন থেকে টেনেহিঁচড়ে পাশে নিয়ে যায় এবং আমার কাজে বাধা দেয়। এ সময় হাতে খামচি দিয়ে ধরে এবং তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এতে আমি হাতে আঘাত পাই ও রক্ত বের হয়। জোরাজোরির একপর্যায়ে তার সঙ্গে যেতে না চাইলে সে আমার পেট চেপে ধরে এবং আমি চিৎকার করলে সেখানে উপস্থিত পুলিশ তার হাত থেকে ছাড়িয়ে আমাকে ওই স্থান ত্যাগ করতে সহযোগিতা করে। আমি এখনো নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি এবং পেশাগত দায়িত্ব পালন নিয়ে শঙ্কিত।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০২৪
এমএস/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।