ঢাকা: কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় স্বৈরাচার সরকার পতনের দাবিতে রাজধানীতে বিভিন্ন স্থাপনা-দেয়ালে নানা ধরনের মন্তব্য-স্লোগান লিখেছিলেন শিক্ষার্থীরা। সেগুলো তারাই মুছে ফেলছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বরে এ দৃশ্য দেখা যায়।
শিক্ষার্থীরা মিরপুর-১০ নম্বরের রাস্তার ডিভাইডার, মেট্রোরেলের পিলার ও বিভিন্ন ভবনের দেয়ালে লেখা গালাগাল, স্লোগান, মন্তব্য তারপিন ও রঙের সাহায্যে মুছে ফেলেছেন। তা ছাড়া সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বও পালন করছেন।
কথা হলে এক শিক্ষার্থী বলেন, দেশ আমাদের সবার, দায়িত্বও আমাকে নিতে হবে। আমি বিবেকের তাগিদে এখানে এসেছি। সকাল থেকেই আমরা অবস্থান নিয়ে সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করছি। কোটা সংস্কার ও সরকার পতনের দাবিতে যে দেয়াল লিখনগুলো ছিল সেগুলোও মুছে ফেলছি। পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ, দেশ রক্ষাও ঈমানের অংশ। আমি আমার দেশকে ভালোবাসি, নতুন করে সবাই মিলে এ দেশটাকে গড়তে চাই।
শিক্ষার্থীদের কর্ম তৎপরতার বিষয়ে পথচারী জহির মিয়া বলেন, ছাত্রদের আত্মত্যাগ আমাদেরকে নতুন করে বাঁচার শক্তি জুগিয়েছে। তাদের এসব কাজ দেখলে সত্যি চোখে পানি চলে আসে। আমি তাদের সালাম জানাই।
শিক্ষার্থীদের আত্মত্যাগ ও সংগ্রাম দেশে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছে বলে মন্তব্য করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াস হোসেন। তিনি বলেন, দেশে এক আমূল পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। ছাত্রদের কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। প্রতিটি মানুষের মধ্যে নতুন করে দেশ নির্মাণের প্রেরণা সৃষ্টি হয়েছে। এ উজ্জ্বল ইতিহাস প্রতিটি বাঙালির।
এর আগে, বেশ কয়েকদিন ধরে চলা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের এক দফা দাবির মুখে সোমবার (৫ আগস্ট) পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। পদত্যাগ করার জন্য ৪৫ মিনিট সময় দেয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। পদত্যাগের পর বেলা আড়াইটার দিকে বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা।
এদিকে দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হবে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান ওয়াকার-উজ-জামান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০২৪
এমএমআই/এমজে