ঢাকা: দেশের তিনটি জেলার নিম্নাঞ্চল বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েক লাখ মানুষ।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানিয়েছেন, বর্তমানে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ধলাইয়ের পানি বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার, হবিগঞ্জের বান্নায় খোয়াইয়ের পানি বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং ফেনীর পরশুরামে মুহুরি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর ৬৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
পাউবো জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও গঙ্গা নদ-নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে, অপরদিকে পদ্মা নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল আছে। আগামী দুদিনে এসব নদীর পানি সমতল কমতে পারে। তবে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর পানি সমতল বাড়ছে।
আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, আগামী তিনদিনে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের আভাস রয়েছে। ফলে এ সময় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার প্রধান নদীগুলোর পানি সমতল কয়েকটি পয়েন্টে সময় বিশেষে বাড়তে পারে।
এ ছাড়া সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার মনু, খোয়াই, ধলাই ও সারিগোয়াইন নদীর পানি সমতল কয়েকটি পয়েন্টে স্বল্পমেয়াদে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীসমূহের পানি সমতল বাড়ছে।
আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের আভাস রয়েছে। ফলে, এ সময় এ অঞ্চলের ফেনী, হালদা, সাঙ্গু, মাতামুহুরি, গোমতী ইত্যাদি নদীর পানি সমতল সামগ্রিকভাবে স্থিতিশীল থাকতে পারে। তবে মুহুরি নদীর পরশুরাম পয়েন্টের পানির সমতল বিপৎসীমার নিচে নেমে আসতে পারে এবং ফেনী জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
পাউবো জানায়, তাদের পর্যবেক্ষণাধীন বিভিন্ন নদ-নদীর ১১৬টি স্টেশনের মধ্যে মঙ্গলবার পানি সমতল বেড়েছে ৬০টিতে, কমেছে ৫৪টিতে। আর অপরিবর্তিত আছে দুটি স্টেশনের পানি সমতল।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০২৪
ইইউডি/আরএইচ