ঢাকা, শনিবার, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

খুলনায় শেখ সোহেলের নামে মামলার বাদীকে হুমকি এবং পাল্টা মামলার অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪
খুলনায় শেখ সোহেলের নামে মামলার বাদীকে হুমকি এবং পাল্টা মামলার অভিযোগ মামলার বাদী ব্যবসায়ী শেখ শহিদুল ইসলাম

বাগেরহাট: খুলনায় যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ সোহেলের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলার বাদী ব্যবসায়ী শেখ শহিদুল ইসলামকে হুমকি-ধামকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।  

এমনকি বাগেরহাটের চিতলমারী থানায় দায়েরকৃত একটি মারামারির মামলায় বাদী শেখ শহিদুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে।

 

শেখ সোহেলের নামে খুলনায় মামলা দেওয়ায় মারামারি মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে বলে দাবি করেন শেখ শহিদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় গত ২৩ এপ্রিল দুপুরের দিকে কয়েকজন যুবক এসে খুলনা যুবলীগের নেতাকর্মী পরিচয় দিয়ে আমাকে শেখ বাড়িতে শেখ সোহেলের কাছে নিয়ে যান। সেখানে সোহেল এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আনিছুজ্জামানের বিরুদ্ধে হওয়া দুদকে অভিযোগের জন্য ব্যবসায়ী আমাকে দায়ী করেন। ওই অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে শেখ সোহেল আমার কাছে ৬০ লাখ টাকা দাবি করেন। পরে বিকেলের মধ্যে ব্যাংক ও বিভিন্ন জায়গা থেকে ধারদেনা করে সোহেলকে ৬০ লাখ টাকা দেই। পরে সরকার পরিবর্তন হওয়ায় ৩ সেপ্টেম্বর আমি শেখ সোহেল ও এলজিইডি খুলনার সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম মুহাম্মদ আনিছুজ্জামানকেও আসামি করে মামলা দায়ের করি। এই মামলা করার পরে মামলা তুলে নিতে  আমাকে নানাভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।

ব্যবসায়ী শেখ শহিদুল ইসলাম আরও বলেন, ১৯ সেপ্টেম্বর নওশের কাজী নামে এক ব্যক্তি বাগেরহাটের চিতলমারী থানায় ১৩৪ জনকে আসামি করে একটি মারধরের মামলা দায়ের করেন। শেখ সোহেলের দোসররা ওই মামলায় ষড়যন্ত্র করে আমাকে আসামি করেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। মূলত শেখ সোহেলের নামে মামলা দেওয়ায় এই মামলায় আমাকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় যে ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, ওই ঘটনার কোনো বিষয় আমি জানি না। হয়রানি করতে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

থানা সূত্রে জানা যায়, নওশের কাজী ওই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে রামদা দিয়ে কুপিয়ে কয়েকজনকে গুরুতর আহত এবং কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর, একটি ডিসকভার ও একটি প্লাটিনা মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন।

চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার দাস বলেন, ১৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দেওয়া হয়েছে। তদন্তপূর্বক যারা প্রকৃত ঘটনার সঙ্গে জড়িত, শুধু তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।