ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ফরিদপুরে ছাত্র আন্দোলনে নিহত শামসুর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২৪
ফরিদপুরে ছাত্র আন্দোলনে নিহত শামসুর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন মরদেহ উত্তোলন করা হচ্ছে।

ফরিদপুর: ফরিদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আন্দোলন চলাকালে নিহত বাসচালক শামসু মোল্যার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।  

বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফরিদপুর শহরের আলীপুর কবরস্থান থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

 

মরদেহ উত্তোলনের সময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, কর্মকর্তাবৃন্দ, পুলিশ ও নিহতের পরিবারের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।  

এর আগে গত ২১ আগস্ট বাসচালক শামসু মোল্লা (৬২) নিহত হওয়ার ঘটনায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ৩০০ থেকে ৪০০ নেতাকর্মীকে আসামি করে নিহতের স্ত্রী মেঘলা বেগম (৩১) বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন।  

ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তন্ময় ইসলাম জানান, গত ১২ সেপ্টেম্বর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নিহত শামসু মোল্যার মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের আদেশ দেন। সেই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে শামসু মোল্লার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করা হয়।  

নিহত শামসু মোল্যার ছেলে মাহমুদুল ইসলাম রাজু জানান, গত ৫ আগস্ট বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় শহরের থানার মোড়ে তার বাবা পুলিশের গুলিতে মারা যান।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, আদালতের নির্দেশে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে নিহত শামসু মোল্যার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।  

প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ফরিদপুর শহরের কোতোয়ালি থানার মোড়ে বিকেল ৫টার দিকে একদল মানুষ ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা ঘেরাও করতে যান। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও গুলি ছোড়ে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলাকালে বাদামপট্টি এলাকায় গুলিতে নিহত হন পথচারী শামসু মোল্লা।  

নিহত শামসু মোল্লা ফরিদপুরের করিম গ্রুপের মালিকানাধীন গোল্ডেন লাইন পরিবহনের বাসচালক ছিলেন। তিনি শহরের পূর্ব খাবাসপুর এলাকার বাসিন্দা। এ ঘটনায় তার দ্বিতীয় স্ত্রী মেঘলা বেগম গত ২১ আগস্ট বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।