ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কুমিল্লায় ছাত্র আন্দোলনে নিহত রিফাত-বাবুর মরদেহ উত্তোলন 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২৪
কুমিল্লায় ছাত্র আন্দোলনে নিহত রিফাত-বাবুর মরদেহ উত্তোলন 

কুমিল্লা: কুমিল্লার দাউদকান্দিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত দুজনের মরদেহ উত্তোলন করেছে পুলিশ। মামলার তদন্তের জন্য আদালতের নির্দেশে শনিবার (২৬ অক্টোবর) তাদের মরদেহ উত্তোলন করা হয়।

 

তারা হলেন-দাউদকান্দির সুকিপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে মো. রিফাত (১৬)। রিফাত উপজেলার সুন্দলপুর হাই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। অপরজন দিনমজুর মো.বাবু মিয়া (২৩)। তিনি উপজেলার তুজারভাঙ্গা গ্রামের অটোরিকশাচালক আব্দুল মান্নানের ছেলে।

গত ৪ আগস্ট দাউদকান্দিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রিফাত বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। ওইদিন রাতেই মারা যায় রিফাত। পরদিন রিফাতের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করে পরিবার। এ ঘটনার ১৪ দিন পর ১৮ আগস্ট রিফাত হোসেনের মামা পরিচয়ে আব্দুর রাজ্জাক ফকির বাদী হয়ে দাউদকান্দি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর গত ১ সেপ্টেম্বর রিফাত হত্যার ঘটনায় কুমিল্লার আদালতে আরেকটি হত্যা মামলা করেন তার মা নিপা বেগম। মামলাটির তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। দুই মামলাতেই সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, উপজেলা চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী সুমন, পৌর মেয়র নাইম ইউসুফ সেইনসহ ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের চার শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।

অপরদিকে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিকেলে দাউদকান্দি মডেল থানার সামনে দিনমজুর মো. বাবু মিয়া (২৩) গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাকে দাফন করা হয়। নিহত দিনমজুর বাবুর প্রতিবেশী লিটন আহম্মেদ পাভেল বাদী হয়ে ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১৫০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন না থাকায় আদালতের নির্দেশে দুজনের মরদেহ উত্তোলন করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। মরদেহ উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন- দাউদকান্দি উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেদওয়ান ইসলাম ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দাউদকান্দি মডেল থানার উপপরিদর্শক হারুনুর রশিদ।

উপ পরিদর্শক হারুনুর রশিদ বলেন, তখন ময়নাতদন্ত করার অবস্থা ছিল না। তাই মরদেহ দাফন করেছিল পরিবার। এখন আদালতের নির্দেশে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে আবার পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

দাউদকান্দি উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেদওয়ান ইসলাম বলেন, আদালতের নির্দেশে আইনি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর আবার মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের আলোকে পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।