ঢাকা, রবিবার, ১১ কার্তিক ১৪৩১, ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

জলাবদ্ধতায় একমাস ধরে দুর্ভোগে মাগুরার স্টেডিয়ামপাড়ার বাসিন্দারা

জয়ন্ত জোয়াদ্দার, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২৪
জলাবদ্ধতায় একমাস ধরে দুর্ভোগে 
 মাগুরার স্টেডিয়ামপাড়ার বাসিন্দারা স্টেডিয়ামপাড়ার জলাবদ্ধতা

মাগুরা: মাগুরায় একটু বৃষ্টিতে পানি আটকে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। বিশেষ করে শহর এলাকায় পৌরসভার অপরিকল্পিত ড্রেনেজ পদ্ধতি, ড্রেনের জায়গা না রেখে অধিকাংশ এলাকায় ভবন নির্মাণসহ নানা কারণে জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে।

 

শহরে বাসা বাড়িতে পানি ঢুকে যাওয়াসহ জনসাধারণের চলাচলে নানা সমস্যা হচ্ছে। শহরের জলাবদ্ধ এলাকাগুলো হচ্ছে, স্টেডিয়ামপাড়া, কলেজপাড়া, নতুন বাজার, তাঁতিপাড়া, খানপাড়া, পিটিআই পাড়া ও বাটিকাডাঙ্গা মসজিদ পাড়া।

মাগুরা আদর্শ কলেজের শিক্ষক টিপু হোসেন বলেন, একটু বৃষ্টিতেই আমাদের স্টেডিয়ামপাড়া জলাবদ্ধ হয়ে পড়ছে। সম্প্রতি একমাসে পর্যাপ্ত বৃষ্টি হওয়ায় জলাবদ্ধতা কমছেই না। প্রতিদিন কাঁধে করে ছেলেকে স্কুলে আনা-নেওয়া করি। এই এলাকার প্রায় সবার অবস্থা আমার মতো। বিকল্প হিসেবে রিকশা, ইজিবাইক ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সৃষ্টি হচ্ছে আর এক জটিলতা। দীর্ঘ জলাবদ্ধতায় অধিকাংশ রাস্তা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এই বাহনগুলো সহজে এলাকায় ঢুকতে চায় না। যে কারণে আমাদের পানির মধ্যে দিয়েই হেঁটে চলাচল করতে হয়।  

একই ধরনের মন্তব্য করেছেন পিটিআই পাড়ার মোহম্মদ হারুন, কলেজপাড়ার সাগর জামানসহ অন্যরা। তারা জানান, উন্নতমানের কোনো ড্রেন ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে স্টেডিয়ামপাড়ার প্রায় পাঁচ থেকে ছয়শ লোকের বসবাস রয়েছে। দীর্ঘ একমাস ধরে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ওই এলাকার বাসিন্দারা।  

অভিযোগ করে তারা বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেও কোনো সুফল পাইনি। অচিরেই উন্নত মানের ড্রেনেজ ব্যবস্থা চালু করে জলাবদ্ধতা নিরসনে ভূমিকা রাখবে।

মাগুরা জেলা প্রশাসক অহিদুল ইসলাম বলেন, শহরের বিভিন্ন স্থানে পানি জমেছে। পৌরসভার সঙ্গে আলোচনা করে সার্বিক সহযোগিতায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। সঠিক পরিকল্পনা করে জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, এই মুহূর্তে শুধু জেলা প্রশাসনের অফিস নয়। শহরের বিভিন্ন জায়গা জলাবদ্ধ হয়েছে। পৌরসভার সার্বিক সহযোগিতায় তিনটি স্কেমিটার ব্যবহার করেছে। তাছাড়া স্থায়ীভাবেও পানি নিষ্কাশন করা হচ্ছে। শহরের মূল ড্রেনেজ দীর্ঘদিন নানা কারণে বন্ধ ছিল। যে কারণে দ্রুত পানি নিষ্কাশন করা সম্ভব হচ্ছিল না। বর্তমানে ড্রেনের পানি বিলের দিকে অপসারণ করা হচ্ছে এবং অন্যদিকে নদী আছে। আমাদের উচিত পানি বিলের দিকে থাকবে না নদীর দিকে যাবে। সঠিক পরিকল্পনা করে জমাট বদ্ধ পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে। এই জলাবদ্ধতা থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে পৌরসভার পক্ষ থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা অক্টোবর ২৭, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।