ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

টেকনাফে অপহরণের ২ দিন পর ফিরলেন ৯ কৃষক 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০২৪
টেকনাফে অপহরণের ২ দিন পর ফিরলেন ৯ কৃষক 

কক্সবাজার: কক্সবাজারের টেকনাফে অপহৃত নয় কৃষক দুই দিন পর মুক্তি পেয়েছেন। অভিযানের কারণে অপহরণকারী চক্র এদের ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ এমন দাবি করলেও এলাকাবাসী বলছেন, মুক্তিপণে ছাড়া পান নয় কৃষক।

সোমবার (৪ নভেম্বর) সকালে অপহৃত দুই রোহিঙ্গাসহ নয়জন এলাকায় ফিরেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ আনোয়ারী।  

মুক্তি পাওয়া নয় কৃষক হলেন, নুরুল ইসলামের ছেলে আনোয়ার, বাচা মিয়ার ছেলে গিয়াস উদ্দিন, জালাল আহমদের ছেলে বেলাল উদ্দিন, আবুল হোছনের ছেলে আবু বকর, নুরুল আলমের ছেলে মুহাম্মদ আলম, আজিজুর রহমানের ছেলে কফিল ও নুরুল হোছন। তবে দুই রোহিঙ্গার নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি।

ইউপি চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ আনোয়ারী জানান, গত শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কানজরপাড়ার করাচিপাড়া পাহাড়ি এলাকা থেকে কৃষকদের অপহরণ করা হয়। এরপর জনপ্রতি দেড় লাখ টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করেন অপহরণকারীরা। এমনকি মুক্তিপণ দাবির বিষয়টি আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে জানানো হলে হত্যা করা হবে বলে হুমকিও দেওয়া হয়। এমন পরিস্থিতিতে গোপনে মুক্তিপণ দিয়ে দফারফা করে তাদের মুক্ত করা হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।

তিনি বলেন, তবে স্বজনরা কত টাকা এবং কাকে মুক্তিপণ দিয়েছে এসব বিষয়ে জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গিয়াস উদ্দিন অপহৃত নয়জনকে ছেড়ে দেওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শনিবার (২ নভেম্বর) অপহরণের বিষয়টি জানার পর পুলিশ উদ্ধার অভিযান শুরু করে। পুলিশের ধারাবাহিক অভিযানের মুখে অপহরণকারী চক্র নয় কৃষককে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। মুক্তিপণ দেওয়ার বিষয়টি তিনি জানেন না বলেও দাবি করেন।

কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও ভুক্তভোগীদের তথ্য বলছে, এ নিয়ে গত এক বছরে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৪৫ জন অপহরণের শিকার হন। এর মধ্যে ৮৮ জন স্থানীয় বাসিন্দা, ৫৬ জন রোহিঙ্গা নাগরিক। অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ৭৮ জন মুক্তিপণ আদায় করে ছাড়া পান বলে দাবি ভুক্তভোগীদের পরিবার ও জনপ্রতিনিধিদের।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০২৪
এসবি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।