ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২৪
লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

লালমনিরহাট: লালমনিরহাটে একরামুল হক হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও সাত বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের দণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে লালমনিরহাটের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আদীব আলী এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- হাতীবান্ধা উপজেলার রমনীগঞ্জ গ্রামের তছির উদ্দিনের ছেলে মো. শামীম হোসেন (৩৭), একই এলাকার আব্দুস সোবাহানের ছেলে নুর হাই (৪০) এবং মৃত নজির হোসেনের ছেলে কবির হোসেন (২৮)। রায় ঘোষণার সময় নুর হাই ছাড়া অন্য আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের দোয়ানী মোড় এলাকায় অটোরিকশা থেকে চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে গত ২০২০ সালের ১০ জুলাই সকালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শামীম হোসেন মোবাইল ফোনে কল করে একরামুল হককে রমনীগঞ্জ গ্রামের বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। সেইদিন থেকে নিখোঁজ ছিলেন একরামুল। সাতদিন পর সানিয়াজান নদীর ধারে একটি ধানক্ষেত থেকে মাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।  

এ ঘটনায় একরামুলের স্ত্রী মনিরা ইয়াছমিন (৩১) বাদী হয়ে ১৮ জুলাই হাতীবান্ধা থানায় শামীম, নুর হাই এবং সবুজের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।  

মামলায় উল্লেখ করা হয়, অটোরিকশা থেকে চাঁদা আদায়ের জেরে একরামুলের সঙ্গে বিরোধ ছিল শামীমসহ অন্য আসামিদের। এরপর গত ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে তদন্ত শেষে পুলিশ নয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। দীর্ঘ শুনানি শেষে মঙ্গলবার আদালত সবুজসহ ছয়জনকে খালাস দিয়ে শামীম, নুর হাই এবং কবিরকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। এ মামলায় বাকি ছয়জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

লালমনিরহাট আদালতের সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট আকমল হোসেন বলেন, এ রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাদীপক্ষ এ রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।