বগুড়া: বগুড়ার সদর উপজেলায় ভেজাল সার তৈরির দায়ে একটি কারখানা সিলগালা ও মালামাল জব্দ করেছে জেলা প্রশাসন। এসময় দুইজন শ্রমিককে আটক করা হয়েছে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে উপজেলার চারমাথা গোদারপাড়া বাজার এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার সাদমান আকিফ।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, গোপন তথ্যে জানা যায় গোদারপাড়া বাজার এলাকায় আবাসিক বাড়িতে ভেজাল সার তৈরি করা হয়। এ তথ্যের ভিত্তিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সেনাবাহিনী ও পুলিশের সমন্বয়ে একটি যৌথবাহিনী দল ওই বাড়িতে অভিযান চালায়। যৌথবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে কারখানায় কর্মকর্তারা পালিয়ে গেলেও দুজন শ্রমিক আটক হন।
এ সময় ভেজাল টিএসপি সার, কীটনাশক, বাসুডিন, ফুরাডিন, ফসফরাস, সালফার, জিংকসহ প্রায় ২০টিরও অধিক কোম্পানির মোড়কজাত করা ভেজাল সার ও সার তৈরির কাঁচামাল (মাটি, পাথর, চুনাপাথর, সিমেন্ট ও অন্যান্য কেমিক্যাল), সার তৈরির সরঞ্জামাদি ও বিভিন্ন কোম্পানির নকল মোড়ক ও লেভেল জব্দ করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গৌতম ও সুলতান নামে দুজন ব্যক্তি বাড়িটি ভাড়া নিয়ে সেখানে কারখানা পরিচালনা করছিলেন।
অভিযান শেষে বগুড়ার সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদমান আকিফ কারখানাটি সিলগালা করেন। আর জব্দ করা মালামাল সদর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কেএম মুনছুর রহমানের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
বগুড়া জেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কেএম মনছুর রহমান জানান, আটক হওয়া দুইজন শ্রমিক। তাদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আর কারখানাটি সিলগালা অবস্থায় আছে। এ বিষয়ে মামলা এখনও হয়নি। তবে মামলার প্রস্ততি চলছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি, এ কারখানা গৌতম ও সুলতান নামে দুই ব্যক্তি চালাতো। তারা অবৈধ সার ব্যবসা সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার সাদমান আকিফ বলেন, অভিযান শেষে নকল সার ও কীটনাশক কারখানাটি সিলগালা করা হয়। কারখানা মালিকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি ভেজাল বিরোধী অভিযান চলমান থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২৪
কেইউএ/এসএম