ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

আশুলিয়ায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা

অতিথি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০২৪
আশুলিয়ায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা ফয়সাল কবির

সাভার (ঢাকা): সাভারের আশুলিয়ায় ফয়সাল কবির (৩২) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

তিনি একটি ট্রান্সপোর্ট কোম্পানির অফিস সহকারী ছিলেন।  

শনিবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের ইউনিক এলাকার কাজী বাড়ির সামনে এ হত্যার ঘটনা ঘটে।  

নিহত ফয়সাল কবির ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা থানার ধর্মদি দক্ষিণপাড়ার আবুল কালাম আজাদের ছেলে। তিনি আশুলিয়ার মধ্য গাজীরচট এলাকায় হেলাল খন্দকারের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।

পুলিশ জানায়, শনিবার রাতে আশুলিয়ার ইউনিক এলাকার কাজী বাড়ির সামনে ৮-৯ জন সন্ত্রাসী ফয়সালকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় হ্যাপি জেনারেল হাসপাতালে নিলে তার অবস্থার অবনতি হয়। এসময় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ব্যাপারে ইব্রাহিম নামে এক আড়তদার ব্যবসায়ী বাংলানিউজকে বলেন, 'আমার বাইপাইল এলাকায় ৬ শতাংশ জমি আছে। একদল সন্ত্রাসী সেই জায়গা দখল করার পাঁয়তারা করছে। দখল করতে না পেরে তারা আমার কাছে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। সেই জমি দেখাশোনার জন্য একজনকে দায়িত্ব দেই। দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির সঙ্গে ফয়সাল আমার কাছে এসেছিল। পরে ফয়সালও আমার জমিতে যাতায়াত করতো। শনিবার সন্ধ্যায় সন্ত্রাসীরা আমার বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায়। সেখানে আমাকে না পেয়ে ফিরে আসার সময় তারা ফয়সালের দেখা পায়। পরে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে আমি এ ব্যাপারে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। বাসার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে বেশ কয়েকজনকে শনাক্ত করেছি। যারা আমার বাড়িতে হামলা করেছে তারাই ফয়সালকেও হত্যা করেছে।

তিনি আরও বলেন, যে সন্ত্রাসী গ্রুপটা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তারা গত কয়েকদিন আগে যানজট নিরসনে নিয়োজিত ছাত্রদের মারধর করেছিল। পরে তাদের দলনেতাকে থানার লকআপে আটকে রাখা হলে ছাত্রদের সঙ্গে বিষয়টা মীমাংসা হয়। পরে তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।  

নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে ইব্রাহিম জানায়, ফয়সাল ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী মাজহারুল খানের অফিসে অফিস সহকারী হিসেবে চাকরি করতেন। প্রায় ১৫ দিন আগে ওই চাকরি ছেড়ে দেন তিনি। তবে কারো সঙ্গে তার ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল না বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।  

আশুলিয়ার থানার পরিদর্শক (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক বাংলানিউজকে বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। দ্রুত হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।