ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মিরপুরে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ

বাবা-মায়ের পর চলে গেল দগ্ধ শিশু সন্তানও

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০২৪
বাবা-মায়ের পর চলে গেল দগ্ধ শিশু সন্তানও

ঢাকা: রাজধানীর মিরপুরে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধের ঘটনায় বাবা মায়ের পর এবার চলে গেল তাদের মেজ সন্তান ১০ বছরের শিশু মোহাম্মদ। তার শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেন চিকিৎসক।

রোববার (১ ডিসেম্বর) রাত ৩টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা যায় সে।

এরআগে, গত ২৪ নভেম্বর ভোরে মিরপুর-১১, ৫ নম্বর এভিনিউ, সি ব্লকের ১৬ নম্বর রোডের একটি বাসায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।  

এতে দগ্ধ হন রুমা আক্তার (৩২), তার স্বামী রঙ মিস্ত্রি আব্দুল খলিল (৪০), ছেলে হাফেজ আব্দুল্লাহ (১৩), মাদরাসাছাত্র মোহাম্মদ (১০) ও ইসমাইল (৪)। আর পাশের বাসার ভাড়াটিয়া গার্মেন্টস কর্মী মো. শাহজাহান (২৫) ও তার স্ত্রী স্বপ্না আক্তার পারভিন (২২)।

বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. শাওন বিন রহমান জানান, চিকিৎসাধীন এরআগে মোহাম্মদের বাবা খলিল ও মা রুমা মারা গেছেন। রোববার রাতে মারা গেছে মোহাম্মদ।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় ৩৮ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে তার বড় ভাই আব্দুল্লাহ ও ২০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ছোট ভাই ইসমাইল। আর প্রতিবেশী স্বপ্নার ১৪ শতাংশ নিয়ে ভর্তি থাকলেও তার স্বামী শাহজাহানকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

মৃত আব্দুল খলিলের ভাতিজি নাসিমা আক্তার রুপালী জানান, তাদের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের সদর উপজেলার চর বাঙলাবাজার গ্রামে। তিন ছেলেসহ তার চাচা-চাচি মিরপুরের ওই বাসায় ভাড়া থাকেন। তাদের পাশের বাসায় ভাড়া থাকেন ওই দম্পতি। গত ২৪ নভেম্বর ভোরে তিনি খবর পান, ওই বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে। তারা সবাই দগ্ধ হয়েছেন। পরবর্তীতে তাদের উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।

খলিলের ভায়রা আব্দুল হালিম জানান, ওইদিন ভোরে খলিল যখন মশার কয়েল জ্বালানোর জন্য দিয়াশলাই জ্বালান, তখনই জমে থাকা গ্যাসের কারণে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

দগ্ধ শাহজাহান জানান, রাতে তারা বাসায় ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোর আনুমানিক ৪টার দিকে হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। ঘুম ভাঙতেই দেখেন চারদিকে আগুন জ্বলছে। তাদের শরীরে আগুন লেগে গেছে। তখন নিজেরাই বাসার বাইরে বের হন।

তিনি জানান, তাদের বাসায় কোনো গ্যাস সিলিন্ডার নেই। বাসার সামনে দিয়ে গ্যাস লাইন রয়েছে। দুই দিন আগে রাস্তার পাশে সেই গ্যাস লাইনে হঠাৎ করে আগুন জ্বলে উঠেছিল। পরে স্থানীয়রা সে আগুন নেভান। তার তার ধারণা, সেই লাইন থেকে লিকেজ হয়ে তাদের রুমের ভেতর গ্যাস জমে ছিল। তার জন্য বিস্ফোরণ হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০২৪
এজেডএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।