ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

অবিলম্বে হাওর ইজারা বন্ধ করা উচিত: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২৪
অবিলম্বে হাওর ইজারা বন্ধ করা উচিত: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

ঢাকা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা মিজ ফরিদা আখতার বলেছেন, আমি মনে করি, হাওরে ইজারা অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত। মানুষের জীবন ও জীবিকা নষ্ট করে ইজারা দেওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না।

যেসব এলাকায় সমস্যা, আপনারা আমাদের জানাবেন প্লিজ। আমরা সেখানে যাব।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এএলআরডি, বারসিক ও বেলার আয়োজনে হাওরের প্রাণ-প্রকৃতি, পরিবেশ, জীবন-জীবিকা, অর্থনীতি, সংস্কৃতি ও মানবাধিকার সুরক্ষায় ‘জাতীয় হাওর সংলাপ ২০২৪’ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন।

হাওর জীববৈচিত্র্যের আধার উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, হাওরাঞ্চলে ১৪৩ প্রজাতির দেশি মাছ ও ১২ প্রজাতির বিদেশি মাছ ও কয়েক প্রজাতির মিঠা পানির চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রকার ছোট-বড় মাছ, শামুক, ঝিনুক বিদ্যমান। এছাড়া দেশের মোট গবাদি পশুর ২২ শতাংশ, হাঁস ২৪ শতাংশ, ১২৯ দেশীয় ও ১২৮ প্রজাতির বিদেশি পাখি, ২৯ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, নয় প্রজাতির উভচর প্রাণী, ৪০ প্রজাতির সরীসৃপ এবং কয়েক প্রজাতির ধান রয়েছে।

উপদেষ্টা আরও বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণের পর চাষের মাছ নিয়ে খুব বেশি বলা হতো, দেশি মাছের কথা বললেই হাওরের মাছের কথা চলে আসে। অন্যদিকে যখন মৎস্যজীবীর কথা বলা হয় তখন প্রকৃত মৎস্যজীবী, অরিজিনাল মৎস্যজীবী এরকম কথা চলে আসছে এর মানে হচ্ছে এ পেশায় অনেকেই অন্যায়ভাবে প্রবেশ করেছে। যারা সত্যিকারের মৎস্যজীবী তাদের মূল্যায়ন করা হয়নি।

তিনি বলেন, হাওর নিয়ে সবসময় টানাটানি হয়, মন্ত্রণালয়গুলো কেউ দায়িত্ব নিতে চায় না। হাওর রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সবার, হাওর রক্ষায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় দায়িত্ব পালন করবে।

হাওরে যেমন মাছ ও ধান আছে তেমনি প্রাণিসম্পদ রয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে হাওরে উফসী ও হাইব্রিড ধানে কীটনাশক ও হার্বিসাইড ব্যবহারে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতকে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। মেশিন দিয়ে ফসল কাটা হচ্ছে। এ মেশিন হাওরে নামার ফলে মাছ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমি কৃষি উপদেষ্টাকে জানিয়েছি, হাওরের ধানে যেন কীটনাশক না দেয় হয়। মা মাছকে রক্ষা করতে হবে।

মানবাধিকারকর্মী ও এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদার সভাপতিত্বে সংলাপে আরও উপস্থিত ছিলেন রংপুর বিভাগের পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, শেয়ার দ্য প্ল্যানেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট তেৎসু চুচুই, বেলার ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী তাসলিমা ইসলাম, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের নির্বাহী সভাপতি ড. লেলিন চৌধুরী, অধ্যাপক আফজালুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-প্রধান মো. বেলাল উদ্দীন বিশ্বাস প্রমুখ।

সংলাপে সুনামগঞ্জ, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাওরাঞ্চলের কৃষক, জেলে, আদিবাসী, হাওরের স্থানীয় প্রতিনিধি, সাংবাদিক, উন্নয়ন সংগঠন ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২৪
জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।