ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পরকীয়ায় রাজি না হওয়ায় ভাবিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২৪
পরকীয়ায় রাজি না হওয়ায় ভাবিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা 

নোয়াখালী: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় পরকীয়ায় রাজি না হওয়ায় শাহনাজ আক্তার পিংকি (৩৫) নামে এক গৃহবধূকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছেন তার দূরসম্পর্কের দেবর সাইফুল ইসলাম খালেদ (৩০)।

এসময় ঠেকাতে গিয়ে ছুরিকাহত হয়েছেন ওই গৃহবধূর শ্বশুর রেজাউল।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হাজীপুর এলাকার মাইল্যা বাদশা মিয়ার বাড়ির সামনের রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত পিংকি উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর হাজীপুর এলাকার নোয়াবাড়ির কুয়েত প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী। তাদের দুটি ছেলে রয়েছে।  

অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম খালেদ একই বাড়ির ডিশ লিটনের ছেলে।

নিহতের বড় বোন ফারজানা আক্তার সুমি জানান, পারিবারিকভাবে ১৬ বছর আগে পিংকি ও জাহাঙ্গীরের বিয়ে হয়। বছর খানেক আগে পিংকির ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নষ্ট হয়ে যায়। স্বামী প্রবাসে থাকায় তার বড় ছেলের মাধ্যমে সেটি বাজার থেকে ঠিক করে আনতে দেন চাচাতো দেবর খালেদকে। ওই সময় খালেদ মোবাইল ফোন থেকে পিংকির স্বামীকে পাঠানো ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও নিজের ফোনে নিয়ে নেন। এরপর ওই ছবি ও ভিডিও দিয়ে পিংকিকে ব্ল্যাকমেইল করে সাত লাখ টাকা আদায় করেন। একই কায়দায় পরকীয়া ও শারীরিক সম্পর্কে জড়ানোর চেষ্টা চালান তিনি। কিছুদিন আগে এ নিয়ে আদালতে মামলা করেন পিংকি। আরও টাকা দাবি করে এবং পরকীয়ায় ব্যর্থ হয়ে পিংকিকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন খালেদ। গত দুই মাস আগে পিংকির স্বামী দেশে এলে এসব বিষয় নিয়ে তার ওপরও হামলা করেন খালেদ।

নিহতের দুলাভাই বাবর হোসেন জানান, মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে স্বামীর বাড়ি থেকে শ্বশুর রেজাউল হোসেনের (৭২) সঙ্গে চৌমুহনী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে বাবার বাড়িতে যাচ্ছিলেন পিংকি। তারা ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাদশা মিয়ার বাড়ির সামনের রাস্তায় পৌঁছালে খালেদ তাদের গতিরোধ করেন। সেখানে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে পিংকিকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন খালেদ। ঠেকাতে গেলে তার শ্বশুরকেও ছুরিকাঘাত করেন তিনি। পরে স্থানীয়রা পিংকি ও তার শ্বশুরকে উদ্ধার করে চৌমুহনী লাইফ কেয়ার হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক পিংকিকে মৃত ঘোষণা করেন।

চৌমুহনী লাইফ কেয়ার হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আবু তালেব জানান, পিংকিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।  

বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান জানান, নিহত গৃহবধূর পরিবারের সঙ্গে খালেদের পরিবারের আগে থেকে দ্বন্দ্ব ছিল। অনেক আগে দেবর-ভাবির মধ্যে হালকা সম্পর্ক ছিল বলেও শোনা যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। তদন্ত শেষে এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২৪
এসআই


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।