ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ পৌষ ১৪৩১, ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

আলোর মুখ দেখেনি কোটি টাকার বর্জ্য পরিশোধনাগার

তৌহিদ ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০২৫
আলোর মুখ দেখেনি কোটি টাকার বর্জ্য পরিশোধনাগার স্যানিটারি ল্যান্ডফিল প্রকল্প।

নওগাঁ: নওগাঁ শহরের বেশিরভাগ এলাকায় নেই ময়লা ফেলার ডাস্টবিন। ফলে সড়কের ওপর কিংবা ড্রেনে পড়ে থাকে ময়লা/আবর্জনা।

আর এসব ময়লা থেকে ছড়ায় দুর্গন্ধ, বাড়ে মশা-মাছির উপদ্রব। এতে দুর্ভোগে পড়ে মানুষ।

তবে এসব সমস্যা সমাধানে ২০১৮ সালে নওগাঁ শহরের কুমাইগাড়ী এলাকায় কয়েক একর জায়গাজুড়ে গড়ে তোলা হয় স্যানিটারি ল্যান্ডফিল প্রকল্প। যেখানে শহরের বাসা-বাড়ির বর্জ্য পরিশোধন হয়ে তৈরি হবে জৈব সার। দুর্গন্ধযুক্ত পানি আলাদা হবে সয়ংক্রিয়ভাবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত প্রকল্পটি এখনও চালু করা যায়নি। ফলে এর সুফল পাচ্ছে না শহরবাসী।  

শহরের উকিল পাড়ার বাসিন্দা জাসিয়া নাসরিন বাংলানিউজকে জানান, উকিল পাড়া এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণ ডাস্টবিন নেই। ফলে অধিকাংশ বাসা বাড়ির লোকজন যেখানে সেখানে ময়লা ফেলে। এটি শহরবাসীর জন্য অনেক বড় দুর্ভোগ। মহল্লাগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ডাস্টবিন থাকলে মানুষ সেখানেই ময়লা ফেলতো, এতে করে পরিবেশটা ভালো থাকতো। কিন্তু সেটি হচ্ছে না।

শহরের মাস্টার পাড়ার বাসিন্দা মোকলেছুর রহমান জানান, ডাস্টবিনের সমস্যা নওগাঁর দীর্ঘদিনের। যেসব এলাকায় ডাস্টবিন রয়েছে সেগুলোও নিয়মিত পরিষ্কার করা হত না। তবে ইদানিং কিছুটা তৎপর দেখা যাচ্ছে পৌরসভার কর্মচারীদের। আমরা দেখেছি কুমাইগাড়ী এলাকায় একটি প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। সেখানে নাকি ময়লা-আবর্জনা পরিশোধন করা হবে। তবে সেটি এখনো চালু হয়নি। তৈরি হয়ে পড়ে আছে। কবে চালু হবে এ বিষয়ে সাধারণ মানুষ কিছুই জানে না।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রকল্পের ডিজাইন অনুযায়ী পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য আলাদা করার কোনো পদ্ধতি নেই। তাই আলাদা শ্রমিক দিয়ে সে কাজ করা খুবই কঠিন। অন্যদিকে বৈদ্যুতিক লাইনসহ বেশকিছু মেশিন চালুই হয়নি এখনও। ফলে প্রকল্পে ব্যবহৃত দামি মেশিন-সরঞ্জামাদি নষ্ট হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন জানান, নগর পরিচালনা অবকাঠামো উন্নীতকরণ প্রকল্পের আওতায় এ কাজের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৪ কোটি টাকা। এখন পর্যন্ত অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। তবে এখনো বড় মেশিন চালানোর জন্য বৈদ্যুতিক সংযোগ করা হয়নি। তবে এটি চালু না করে দীর্ঘদিন এভাবে ফেলে রাখলে নষ্ট হতে পারে দামি মেশিন।

তিনি আরও জানান, এটি চালু করার জন্য বেশ কিছু সময় লাগবে। এটির সব থেকে বড় সমস্যা হচ্ছে শহরের বাসা থেকে যেসব বর্জ্য আসছে সেগুলো পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য একসঙ্গে আসছে। এখানে সেগুলো আলাদা করার কোনো ব্যবস্থা নেই। তারপরও প্রকল্পটি চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০২৫
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।