ঢাকা, বুধবার, ১ মাঘ ১৪৩১, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

তিন কোটি টাকা মূল্যের গাড়ি আত্মসাৎ, গ্রেপ্তার ৫

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২৫
তিন কোটি টাকা মূল্যের গাড়ি আত্মসাৎ, গ্রেপ্তার ৫ প্রতীকী ছবি

ঢাকা: পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণার মাধ্যমে তিন কোটি টাকা মূল্যের চারটি গাড়ি আত্মসাতের অভিযোগে চারটি গাড়ি উদ্ধারসহ পাঁচ প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল পুলিশ।  

গতকাল মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন - জারাক আহমেদ (৩৮), আবুল কালাম রিফতিয়ার (৩৮), মো. জামির হোসেন (৩৬), মো. সজল আহম্মেদ (৩০) ও আব্দুর রহমান রুবেল (৫৬)।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা সূত্রে জানা যায়, গাড়ি ব্যবসায়ী মো. ইমদাদুল হক খান ওরফে নওশাদের তেজগাঁওয়ের শো-রুম থেকে বিক্রয়ের উদ্দেশে গত ২৬ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে চারটি গাড়ি ডেলিভারি চালানমূল্যে নর্দ্দা প্রগতি সরণি এলাকায় এবি ড্রাইভ লিমিটেডের শো-রুমে নিয়ে যান প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জারাক আহমেদ ও চেয়ারম্যান মো. জামির হোসেন। গাড়ি চারটি হলো - ২০২৩ মডেলের একটি টয়োটা হেরিয়ার জিপ, ২০১৮ মডেলের একটি টয়োটা ভেলফেয়ার জিপ গাড়ি, ২০১৮ মডেলের একটি টয়োটা এসকোয়্যার মাইক্রোবাস ও ২০১৯ মডেলের একটি টয়োটা এক্সিও প্রাইভেটকার। গাড়ি চারটির সর্বমোট বাজার মূল্য তিন কোটি টাকা। পরবর্তীতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা গাড়িগুলো ফেরত দেবেন না বলে জানায় এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকেন। ইমদাদুল হক খান খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তারা গাড়িগুলো প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাতের উদ্দেশে এবি ড্রাইভ লি. নর্দ্দা বাসস্ট্যান্ড এলাকার শো-রুম অন্যত্র সরিয়ে ফেলেছেন। এ ঘটনায় গত ৫ জানুয়ারি ইমদাদুল হক খানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে জারাক আহমেদ ও মো. জামির হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা ২-৩ জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় একটি প্রতারণার মামলা দায়ের হয়।

তদন্তাধীন এই মামলায় থানা পুলিশ গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় মঙ্গলবার গুলশান লিংক রোড এলাকা হতে এবি ড্রাইভ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জারাক আহমেদকে আটক করে। পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর ও কাশিমপুর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এজাহারনামীয় আসামি মো. জামির হোসেনের সহযোগী আবুল কালাম রিফতিয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়।

থানা সূত্রে আরো জানা যায়, গ্রেপ্তার আবুল কালাম রিফতিয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি জানান, তার বস মো. জামির হোসেন তাকে একটি টয়োটা এসকোয়্যার মাইক্রোবাস গাড়ি এবং একটি টয়োটা এক্সজিও প্রাইভেটকার এক আত্মীয়ের বাসায় রাখতে বলেন। ওই তথ্যের ভিত্তিতে তাকে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা মহানগর আফতাব নগর এলাকা থেকে ওই গাড়ি দুইটি উদ্ধার করা হয়। অন্য দুটি গাড়ির বিষয়ে রিফতিয়ারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মো. সজল আহম্মেদ ও আব্দুর রহমান রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লার নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড ভূইগড় এলাকা হতে মো. সাইদুর রহমানের হেফাজত হতে একটি টয়োটা ভেলফেয়ার জিপ ও একটি টয়োটা হেরিয়ার জিপ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা এই চারটি গাড়ি পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছিলেন মর্মে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন আটকরা।

মামলার তদন্ত ও আটকদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২৪
এজেডএস/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।