ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ পৌষ ১৪৩১, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

অবরোধ-হরতালে পর্যটকশূন্য রাঙামাটি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৫
অবরোধ-হরতালে পর্যটকশূন্য রাঙামাটি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাঙামাটি: দেশে চলমান টানা অবরোধ, হরতালে রাঙামাটির পর্যটন শিল্প একেবারে মুখ থুবড়ে পড়েছে। ভরা মওসুমেও নেই কোনো পর্যটক।

লাভের মওসুমে ব্যবসায়ীরা এখন গুণছেন লোকসান। লোকসানের ভার কমাতে কর্মচারী ছাঁটাই চলছে অনেক প্রতিষ্ঠানে।

রাঙামাটিতে পর্যটকদের বিনোদনের জন্য গড়ে তোলা পর্যটন মোটেলের ঝুলন্ত ব্রিজ, ডিসি বাংলো, নানিয়ারচরে বুড়িঘাটের বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফের স্মৃতিসৌধ,
জেলা পুলিশের সুখী নীলগঞ্জ ও পলওয়েল পর্যটন, শহরের ভেদভেদীর মিনি চিড়িয়াখানা, রাজবন বিহার, চাকমা রাজার বাড়ী, কাপ্তাই লেকে নৌবিহার, সুবলং ঝর্ণাস্পট, পেদাটিংটিং স্পট, টুকটুক ইকো ভিলেজসহ সবগুলো পর্যটন স্পট ও স্থাপনা এখন ফাঁকা।

হোটেল সাংহাই ইন্টারন্যাশনালের মালিক রাফসান ওয়াফি বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিবছর এ সময়ে আমাদের হোটেল ব্যবসা জমজমাট হয়ে থাকত। কিন্তু এবার
মওসুমের শুরুতেই ব্যবসায় প্রচুর আর্থিক শিকার হতে হচ্ছে। দেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় আমাদের এখন পথে বসার উপক্রম।

এ অবস্থা বেশিদিন চলতে থাকলে হোটেলের ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হবে।

এছাড়া আর কোনো উপায় দেখা যাচ্ছে না। তিনি পর্যটকদের অবরোধ ও হরতালের আওতামুক্ত রাখতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।

এদিকে, পর্যটকদের বিভিন্ন স্পটে নিয়ে যাওয়ার বাহন ইঞ্জিনচালিত নৌকাগুলো পর্যটন ঘাটে বাঁধা রয়েছে। ফাঁকা রয়েছে টেক্সটাইল মার্কেটের দোকানগুলোও।

রাঙামাটির পর্যটন কমপ্লেক্সের ম্যানেজার আলোক বিকাশ চাকমার বাংলানিউজকে বলেন, এ সময়টা পর্যটকদের জন্য ভরা মওসুম। কিন্তু এ বছর চলমান দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এখন পর্যটন মোটেলের বেশিরভাগ রুম খালি পড়ে আছে। প্রতিবছর আমরা পর্যটন খাত থেকে সরকারকে আশানুরূপ রাজস্ব দিতে পারি। কিন্তু এবার মওসুমে পর্যটক শূন্যতার কারণে রাজস্ব আয়ের বদলে লোকসান দিতে হবে প্রচুর।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।