ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ পৌষ ১৪৩১, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা না করায় জাতি আশাহত

বাংলানিউজটিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৫
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা না করায় জাতি আশাহত

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর খবর শুনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাবেদনা জানাতে গিয়ে দেখা করতে না পারায় জাতি আশাহত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ।

তিনি বলেন, যে মুহ‍ূর্তে দেশের মানুষকে পুড়িয়ে মারা  হচ্ছে, জনগণকে বিএনপি প্রতিপক্ষ করছে, ঠিক সেই মুহ‍ূর্তে খালেদা জিয়াকে সমবেদনা জানাতে প্রধানমন্ত্রীর যাওয়ার খবর শুনে জাতি একটা সমাধান প্রত্যাশা করেছিল।

কিন্তু সেটা না হওয়ায় জাতি আশাহত হয়েছে।
 
রোববার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় দশম জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে এ কথা বলেন রওশন এরশাদ।
 
তিনি বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার পুত্র আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুকে শোক প্রকাশ করছি। কিন্তু কাল (শনিবার) যে ঘঠনাটি ঘটেছে তা দুঃখজনক। কেউ মারা গেলে আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী সমাবেদনা জানায়, এটা আমাদের দীর্ঘ দিনের সংস্কৃতি। যখন আমরা খবর পেলাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গুলশানে যাচ্ছেন খালেদা জিয়াকে সমাবেদনা জানাতে। তখন জাতির মধ্যে একটা আশা তৈরি হয়েছিল। আমরাও আশা করেছিলাম। একটা সমাধান হয়তো আসবে।
 
রওশন বলেন, যে সময় হরতাল-অবরোধ চলছে, মানুষগুলো আগুনে পুড়ে মারা যাচ্ছে, বার্ণ ইউনিটে কাতরাচ্ছে। সেই মুহূর্তে তাদের দুজনের মধ্যে দেখা হলে হয়তো একটা সমাধান বেরিয়ে আসতো।
 
রওশন এরশাদ আরও বলেন, আমরা জনগণের জন্য রাজনীতি করি। কিন্তু এখানে জনগণকে প্রতিপক্ষ করা হচ্ছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কাজ এটা হতে পারে না।
 
তিনি বলেন, ধরেই নিলাম তিনি পুত্রহারা হয়ে ঠিক থাকতে পারেননি। কিন্তু সেখানো তো তার দলের সিনিয়র অনেক নেতাই ছিলেন। তারাও তো কথা বলতে পারতেন। রাজনীতিতে শিষ্টাচার বলে একটা কথা আছে, সেটাও করেনি তারা।
 
বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, এভাবে জনগণকে যদি প্রতিপক্ষ করা হয় তাহলে কী হবে? দেশ ও জাতি প্রত্যাশা করেছিল তাদের দেখা হলে একটা সমাধান বেরিয়ে আসবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সেখানে গিয়ে দেখলেন খালেদার গেটে তালা লাগানো। কিন্তু তার দলের বড় বড় নেতা মওদুদ আহমেদ, এম কে আনোয়ার, জমির উদ্দিন সরকারসহ আরও অনেক বড় বড় নেতারা ছিলেন। তারা থাকতে কেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলা হলো না। তারা তো প্রধানমন্ত্রীকে বসাতে পারতেন, কথা বলতে পারতেন, শোক বইয়ে প্রধানমন্ত্রী তার কথা লিখতেন।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৫

** ‘বুঝতে চেষ্টা করুন ব্যথা কাকে বলে’
** ২০১৯ সালেই মেট্রোরেল দিয়ে চলাচল!
** সওজ’র কোনো রাস্তাই বেহাল দশায় নেই
** শিগগিরই বাস টার্মিনালে ডিজিটাল ব্যানারে ভাড়ার তালিকা
** পদ্মাসেতু নিয়ে কথা কম
** অধিবেশন শুরু, চলছে মন্ত্রীদের প্রশ্নোত্তর

** অসাম্প্রদায়িক চেতনায় এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।